বাসস দেশ-১৬
জয়পুরহাট-অগ্নিকান্ড
জয়পুরহাটে অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ৮ নিহত : ঘটনায় ৩ টি তদন্ত কমিটি গঠন
জয়পুরহাট, ৮ নভেম্বর, ২০১৮(বাসস) : জেলা শহরের আরামনগর এলাকায় বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক ৩ টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে এই মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া বিনতে তাবিবকে আহবায়ক এবং ইউএন ও সদর মিল্টন চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুস সালামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন ও তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় আহবায়ক এবং সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) আবু হেনা মোস্তাফা কামাল ও ওসি ডিবি ফরিদ হোসেনকে সদস্য করে গঠিত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে জেলা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে উপ সহকারি পরিচালক নিজাম উদ্দিন কে প্রধান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম ও পরিদর্শক মাহফুজার রহমান।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহতরা হচ্ছেন মা মোমেনা খাতুন (৬৫), ছেলে আব্দুল মোমিন (৩৫) ও নাতনি বৃষ্টি (১৫)। অগ্নিদগ্ধ ৫ জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করা হলে রাস্তায় ছেলের বউ জরিনা খাতুন (৩৩), নাতনি হাসি (১৩), খুশি (১৩) ও দেড় বছরের নাতি শিশু নূর রাতেই মারা যান। সর্বশেষ, পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি গৃহকর্তা দুলাল হোসেন (৬৫), তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারও মৃত্যু হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ৮ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে পৃথকভাবে শহিদ জিয়া কলেজ মাঠে ৫ জনের ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৩ জনের জানাযা শেষে সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বাসস/ সংবাদদাতা/১৭১০/মরপা