4340

বাসস দেশ-৬
শিল্পমন্ত্রী- বিএসটিআই
ভেজাল খাদ্যপণ্য রোধে রমজানে অতিরিক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মে, ২০১৮ (বাসস): শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে ভেজাল ও নি¤œমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন বন্ধে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধানীতে অতিরিক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় যাতে অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতাগণ ভেজাল বা নি¤œমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত থাকেন, সে লক্ষ্যে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীতে প্রতিদিন অতিরিক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি শুরু হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে বিএসটিআই’র আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে এ ধরনের ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যা রমজান মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।’
আজ মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দাবিরুল ইসলাম এবং বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালামসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী এসব এলাকায় রমজান মাস জুড়ে মোবাইল কোর্ট চলবে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ৪৩০টি ফলমূল ক্রয় করে ফরমালিনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর কোনোটিতে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।’
ইফ্তার ও সেহ্রিতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় এমন ২৪ ধরনের খাদ্য-পণ্যের মোট ২৮৬টি নমুনা বাজার থেকে আগাম সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবে পরীক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৭৫টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩৯টি নমুনা কৃতকার্য এবং ৩৬টি অকৃতকার্য হয়েছে। বাকি ১১১টি নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নমুনা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
শিল্পমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে গত ১৩ মে পর্যন্ত ভেজালবিরোধী অভিযানে মোট ৩৮২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং এসময় ৫২২টি মামলা দায়ের করা হয়। মোবাইল কোর্টে দায়েরকৃত সবগুলো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি জানান, একই সময়ে ১ হাজার ৬৬টি সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনা করা হয়েছে এবং সার্ভিল্যান্স টিমের মামলা দায়েরের সংখ্যা ৪০৫টি। এছাড়াও এসময়ে ৫৮ জনকে কারাদন্ড প্রদান এবং ২৮টি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।