নানা আয়োজনে স্মরণ করা হলো শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে

401

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকার সপ্তম প্রয়াণ দিবস নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শিল্পীর গাওয়া গান, আলোচনা, স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। গত রাতে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিলে ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’।
অনুষ্ঠানে ভূপেন হাজারিকার বোন ভারতের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুদক্ষিণা শর্মা বলেন, ভূপেন হাজারিকা আজীবন সংগীত সাধনা করে গেছেন। বাড়িঘরের খোঁজ রাখতেন না। বাংলা ভাষা ও গানের জগতে তার ভিন্নধর্মী পরিবেশনায় বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন। আমি ভাবি এই অর্জন বাঙালিরই অর্জন।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, গণসংগীতে তার পরিবেশনা একশ’ ভাগ জীবনমুখী। এই উপমহাদেশে মানুষের মুক্তি, তাদের সুন্দর জীবন এবং গানের জগতকে উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিল্পীর পরিশ্রম বিফলে যায়নি। যার কারণে তার মৃত্যুর পরও তার গান গাওয়া হচ্ছে। তাকে বাংলা গানের জগত থেকে কখনও মুছে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, এই গুণী শিল্পীর ভিন্নধর্মী গানের ভুবন আমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছেন। এর কারণেই একাডেমি তার প্রয়াণ দিবস উদযাপন করছে। তার বোন ও ভারতের শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে যোগাদন করে আমাদের কৃতার্থ করেছেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন, ভূপেন হাজারিকার আত্মজীবনী গ্রন্থের অনুলেখক পদ্মশ্রী সূর্যকান্ত হাজারিকা, ড. সৌমেন ভারতীয়া ও ড.তিমির দে। সভাপতিত্ব করেন লিয়াকত আলী লাকী । অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা করে ভারতের ‘ ব্যাতিক্রম মাসদো ’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পীর স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন এবং মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। এরপর অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এসময় ব্যতিক্রম মাসদো এর পক্ষ থেকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের হাতে ভূপেন হাজারিকার আত্মজীবনীসহ তাঁর লেখা ১৮টি বই ও ২টি প্রামান্যচিত্র তুলে দেয়া হয়।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন সুদক্ষিণা শর্মা ও রিশিরাজ শর্মা। ‘ইবার দিব দালান কোঠা..’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি..’ ও ‘বিস্তৃর্ণ দু’পাড়ে..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল।
‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াসমিন আলী। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির সংগীত শিল্পী রোকসানা রূপসা, সোহানুর রহমান ও সুচিত্রা রানী। শেষ পর্বে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীরা একসাথে ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য..’ গানটি পরিবেশন করেন। এতে অংশ নেন সঙ্গীতশিল্পী সুদক্ষিণা শর্মা, লিয়াকত আলী লাকী, ঋষিরাজ শর্মা, ড. সঙ্গীতা কাকতী ও অভিজিৎ কুমার বড়ুয়া। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন ঢাকা সাংস্কৃতিক দল ।