বাজিস-১০ : সিলেটে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে’ শুরুতেই উপচেপড়া ভিড়

313

বাজিস-১০
সিলেট-ভিড়
সিলেটে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে’ শুরুতেই উপচেপড়া ভিড়
সিলেট, ৫ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : প্রাথমিকভাবে চালু করার পর শুরুতেই দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে সিলেটে নির্মিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে। গত শুক্রবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এটি।
বনবিভাগ জানিয়েছে, সিলেট নগরীর টিলাগড়ে ১১২ একর জমিতে গড়ে তোলা ইকোপার্কের ৩০ একর জায়গায় ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র’ তৈরি করা হয়েছে। এখানে জেব্রাসহ ৯ প্রজাতির ৫৮টি পশুপাখি প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন এটি আনুষ্ঠনিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় উদ্বোধনের আগেই শিশুসহ দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমে। বনবিভাগ বলছে, ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী উপস্থিতি ছিল। যে কারণে বেলা ৪টায় টিকিট ছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য এটি খুলে দেয়া হয়। প্রথমদিন থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত শুধুমাত্র টিকিটের বিনিময়ে ১২ হাজার দর্শনার্থী সেখানে প্রবেশ করেছেন।
সিলেটে কোনধরণের চিড়িয়াখানা না থাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে মানুষের আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা। এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, চিকিৎসা ও অবমুক্তের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলছেন, সিলেটে কোন চিড়িয়াখানা না থাকায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিশেষ আগ্রহে এখানে প্রথমে চিড়িয়াখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, এই বন ও প্রাণীর জীববৈচিত্রের কথা চিন্তা করে পরবর্তীতে এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। চিড়িয়াখানার আদলে এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘ, চিত্রল হরিণ, সিংহসহ আরো বেশ কিছু প্রাণী নিয়ে আসার কথা জানিয়ে বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নিজস্ব চিকিৎসক না থাকায় এই মুহূর্তে বাঘ আনা হয়নি। আগামী ১৬ডিসেম্বরে মধ্যেই বাঘসহ আরো বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী আমরা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি ।
বর্তমানে দুটি জেব্রা, দুটি হরিণ, ১২টি ময়ূর, ১টি গোল্ডেন ফিজেন্ট পাখি, ৩টি সিলভার ফিজেন্ট পাখি, ২টি খরগোশ, ৩টি ম্যাকাও পাখি, ৪টি আফ্রিকান গ্রে প্যারট, ৪টি সান কানিউর পাখি, ৩০টি লাভ বার্ড ও ১টি অজগর রয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে। মাত্র ১০টাকা টিকিটের বিনিময়ে দর্শনার্থীরা এসব প্রাণী দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
২০১২ সালে টিলাগড় ইকোপার্ক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের জুনে কাজ শেষ হলেও জনবল সংকটের কারণে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা হয়েছিল বাঘসহ বেশ কিছু প্রাণী। সেগুলো রাখা হয়েছিল গাজীপুর সাফারি পার্কে। বন্যপ্রাণীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালসহ ও অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর গত ২৭ অক্টোবর এখানে স্থানান্তর করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/২০০০/মরপা