বাসস দেশ-১৯ : আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি দরকার : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

190

বাসস দেশ-১৯
ঢাবি- অর্থ প্রতিমন্ত্রী- সেমিনার
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি দরকার : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন দরকার। এ জন্য সকল মহলকে আরো সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা ও বিষয় ভিত্তিক সেমিনারে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘একশনএইড-ডিইউডিএস ন্যাশনাল ডিবেট ক্যাম্পেইন ২০১৮’- এর অংশ হিসেবে কর্মশালা ও বিষয় ভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন করে।
এর আগে আজ সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: আখতারুজ্জামান। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ও একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান এই বিষয়ে একটি নীতি পর্যালোচনা পত্র তুলে ধরেন। এতে বক্তব্য রাখেন ডিইউডিএস-এর প্রেসিডেন্ট এস এম রাকিব সিরাজী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আসাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং গাইবান্ধার কাঞ্চনীপাড়া ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি বিথী বেগম।
এম এ মান্নান বলেন, গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করা জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন অর্জন করতে পারলে স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন অর্জনের কাজটিও সহজ হয়ে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, গৃহস্থালি সেবামূলক কাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশের জন্য এসডিজি অর্জন করা আরো সহজ হবে।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক ইশতেহারে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে, যাতে নারীর অবদান স্বীকৃতি পায়। জাতীয় নীতিতে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, সে জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং কাঠামোগত পরিকল্পনা। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১- এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনাতে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্তিকরণ ও স্থানীয় এবং জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টিএসসি চত্ত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।
বাসস/সবি/এমএআর/১৯৪৫/কেএমকে