খালেদা-তারেকের অপরাধের কৈফিয়ত দিন : তথ্যমন্ত্রী

235

ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আদালতের বারান্দা ও কারাগারের ভেতর থেকে খালেদা-তারেক ও জঙ্গি-জামাত-রাজাকারদের রাজনীতির মাঠে ফেরত আনার দাবি আসলে গণতন্ত্রের ভেতর চক্রান্তের বাসা বাঁধার দাবি।’
‘ভয়ংকর অপরাধের বিচার না করে সুন্দর গণতন্ত্র হয়না’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র চাইবেন আর খালেদা-তারেকের অপরাধ আমলে নেবেন না, কৈফিয়ত দেবেন না, তা হয়না। শরীরে ক্যান্সার পুষে ভালো জামাকাপড় পরলেই সুস্থ হওয়া যায় না।’
তথ্যমন্ত্রী আজ বিকেলে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বরঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জাসদের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। জাসদ নেতা কে এম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর) আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আফজাল হোসেন খান জকি’র নাম প্রস্তাব করেন হাসানুল হক ইনু।
ইনু বলেন, ‘অতীতের ভয়ংকর সব অপরাধের হিসাব-নিকাশ বাদ দিয়ে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে না। একাত্তর, পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের কৈফিয়ত চাওয়া গেলে রাজাকার-জঙ্গি-আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে বিএনপি-খালেদা-তারেককেও কৈফিয়ত দিতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে ‘রাজবন্দির সংজ্ঞা কী, রাজবন্দির তালিকা কিভাবে তৈরি করবেন এবং তাতে কাদের নাম থাকবে? রাজনৈতিক মামলার সংজ্ঞা কী, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তি খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া কী? সংবিধানের কোন জায়গায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর বিধান আছে? সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার নিয়ম কী? আইনের শাসন এবং নল যার হাতে তার কাছে কি বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া যায় কিনা, এই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান।
জাসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইকবাল হোসেন খান, আফজাল হোসেন জকি, আসলাম খান বাবু, এড. নজরুল ইসলাম বাদশা, শফিউদ্দিন মোল্লা, শামসুল আলম খান, এড. মোঃ শরিফ, ইয়াসিন আরাফাত ময়না, আরিফ হোসেন, আব্দুস সালাম ঠান্ডু প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।