মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

653

ঢাকা, ১৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আগামী অর্থবছরে মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ প্রতিমাসে পাঁচশত টাকা থেকে বাড়িয়ে আটশত টাকা করা হবে। পাশাপাশি, মাতৃত্বকালীন ভাতার মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩ বছর করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ দরিদ্র নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হচ্ছে। তারা মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে প্রতিমাসে ৫শ’ টাকা হারে পাচ্ছেন। আগামী অর্থবছরে এ ভাতার পরিমান বৃদ্ধি করে ৮শ’ টাকা করা হবে।’
আজ রোববার বিকালে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা ও সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৫ জন স্বপ্নময়ী মাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বপ্নজয়ী মায়েদের মধ্যে রয়েছেন দিনাজপুরের মোছা. নাজমা রহিম। তার এক ছেলে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম এবং আরেক ছেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
স্বপ্নজয়ী অন্য মায়েরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফিরোজা বেগম, মানিকগঞ্জের মানিক জান ও আরতী রানী বনিক এবং মৌলভীবাজারের মীরা দে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক কাজী রওশন আরা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে একজন দরিদ্র মা ২ বছর পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু শূন্য থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুর ৯০ শতাংশ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। তাই এ সময় মা ও শিশুর পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মন্ত্রণালয় মাতৃত্বকালীন ভাতার মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩ বছর করার পরিকল্পনা করছে।’ তিনি কন্যা শিশুদের প্রতি যতœবান হওয়ার আহবান জানান।