বাজিস-৫
ভোলা-স্বাস্থ্য-বিভাগ-উন্নয়ন
ভোলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন
ভোলা, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ১২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যা উন্নীতকরন, ইপিআই স্টোর ভবন নির্মাণ, চিকিৎসকদের ডরমেটরি নির্মাণ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সাধিত হয়েছে। নির্মাণ পক্রিয়াধীন রয়েছে ২৬ কোটি টাকার একটি মেডিকেল ইনিস্টিটিউট। ফলে পরিবর্তন এসেছে দ্বীপ জেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবায়। সাধারন মানুষের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজের ৯৯ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় সম্পন্ন করা হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোর ভবন নির্মাণ। চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হয়েছে২১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে। ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় রুপান্তর করা হয়েছে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৬ কোটি৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে।
একইভাবে দৌলতখানের খায়ের হাটের হাসপাতালকে ১০ থেকে ৩০ শয্যা করা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে। এ হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেডিকেল এসিস্টেন্ড ট্রের্নিং স্কুল নির্মাণ করা হবে। সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডরমেটরি করা হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে। তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে জেলায় ৫৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারন মানুষের দাড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে চিকিৎসা সেবা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বাসস’কে বলেন, জেলার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যা উন্নীতকরণের মাধ্যমে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সেবার মান বেড়েছে। সাধারন মানুষ এখন খুব সহজেই তাদের কাঙ্খিত সেবা ঘরের কাছেই পাচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল হওয়াতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছেনা মানুষের।
তিনি আরো বলেন, খায়ের হাটে মেডিকেল এসিন্টেন্ড ট্রেনিং স্কুল নির্মাণের টেন্ডার পক্রিয়া চলমান আছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন ভবন উদ্বোধন হলে আমূল পরিবর্তন আসবে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবায় বলে জানান জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান এ কর্মকর্তা।
বাসস/এইচ এ এম/কেইউ/১৪০০/নূসী