অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে সহায়তায় আগ্রহী ভারত

407

ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং ‘র’ সুগার থেকে পরিশোধিত চিনি উৎপাদনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।
ভারতের খাদ্য সচিব রবিকান্তের নেতৃত্বে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ একটি প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে তার কার্যালয়ে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান।
এ লক্ষ্যে শিগগিরই ভারতের পক্ষ থেকে একটি সমন্বিত প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে সহায়তার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেনসহ ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু’দেশের শিল্পখাতে সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের চিনি শিল্পের আধুনিকায়ন, ‘র’ সুগার থেকে রিফাইন্ড সুগার উৎপাদন, আখচাষিদের প্রশিক্ষণ, উচ্চ রিকভারীসম্পন্ন আখজাত হস্তান্তর এবং চিনি শিল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর আলোচনা হয়।
ভারতের খাদ্যসচিব রবিকান্ত এ সময় বলেন, উচ্চ প্রযুক্তির আখ চাষের মাধ্যমে ভারত উদ্বৃত্ত পরিমাণে চিনি উৎপাদন করছে। এ চিনি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে তারা প্রতিবেশি দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে চিনি উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় তারা এদেশে অপরিশোধিত চিনি রপ্তানির জন্য শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। এক্ষেত্রে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনে ভারতীয় ‘লাইন অব ক্রেডিট’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।
শিল্পমন্ত্রী ভারতকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভারতের জাতীয় মাননির্ধারণী সংস্থা এনএবিএল ইতোমধ্যে ২১টি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই এর পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করেছে। আরও ১২টি পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি দ্রুত এসব পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করতে ভারতীয় খাদ্য সচিব এবং হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের আধুনিকায়ন, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ‘র’ সুগার পরিশোধনের সুযোগ তৈরি করতে ভারতের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রস্তাব পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।