পাকিস্তানী সাবেক তারকা কাদিরের ছেলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে খেলতে চান

184

সিডনি, ১ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট তারকা আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদির অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রাইম মিনিস্টার একাদশের হয়ে উসমান তিন উইকেট নিয়েছেন। আর এতেই বাবার মত তারকা লেগ স্পিনার হবার স্বপ্নে বিভোর উসমানের অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজকে সামনে রেখে বুধবার প্রোটিয়ারা একদিনের অনুশীলন ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল। প্রায় পূর্ণাঙ্গ শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকানদের বিপক্ষে ৮১ বল হাতে রেখে পিএম একাদশ ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয়। অস্থায়ী কার্যকরী ভিসা নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন ২৫ বছর বয়সী উসমান। তবে অচিরেই তিনি ট্যালেন্ট ভিসার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। এতে করে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব পেতেও সুবিধা হবে।
এই স্বপ্ন পূরণ হলে দ্বিতীয় পাকিস্তানী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবেন উসমান। এর আগে ২০১৩ সালে অভিষিক্ত ফাওয়াদ আহমেদ প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে এ পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি২০ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
ক্যানবেরাতে অনুষ্ঠিত অনুশীলন ম্যাচে ১০ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট দখল করা উসমান বলেছেন, ২০২০ সালে টি২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার লক্ষ্যস্থির করেছি। এর আগেও যদি টেস্ট কিংবা ওয়ানডে দলে আমার সুযোগ ঘটে তবে আমি সেটাকে পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে চাই।
অস্ট্রেলিয়ান গ্রেড ক্রিকেটে ভাল পারফরর্ম করার পর সম্প্রতি শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উসমানের অভিষেক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখলেও পাকিস্তানের হয়ে ৬৭ টেস্ট ও ১০৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলা বাবা আব্দুল কাদিরের ইচ্ছা ছেলে পাকিস্তানের হয়ে খেলবে। বিষয়টি উসমানকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। সিডডি মর্নিং হেরাল্ডে এ সম্পর্কে উসমান বলেছেন, গত দুই বছর যাবত আমি পাকিস্তানে খেলার কোন সুযোগ পাইনি। বিভিন্ন দলে থাকলেও সবসময়ই আমাকে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। কিন্তু এখানে এসেই আমি খেলার সুযোগ পেয়েছি ও নিজেকে প্রমান করেছি। বাবা শুধুমাত্র আমাকে এই ম্যাচগুলো খেলার অনুমতি দিয়ে বলেছেন তোমার প্রতি আমার দোয়া আছে। তুমি যা চাও তা করতে পারো, কারণ এখন তুমি বড় হয়েছো এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেবার মত যথেষ্ট বয়স তোমার হয়েছে।