২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপেই ৪৮ দল অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব : ইনফান্তিনো

896

কুয়ালালামপুর, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস/এএফপি) : ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো বলেছেন, ৪৮টি দল নিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব। বুধবার তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী বছরের শুরুতে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
বর্তমানে বিশ্বের ৩২টি দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহনকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৮টিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
আজ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের বার্ষিক কংগ্রেসে বক্তৃতালে ফিফা বস বলেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপটিও ৪৮ দলের অংশগ্রহনে আয়োজন করা অসম্ভব কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অনুযায়ী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ৩২টি থেকে বাড়িয়ে ৪৮টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেটি ২০২৬ সালে সম্ভব, সেটি ২০২২ সালে সম্ভব না হওয়ার কোন কারন নেই। এটি সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এটি সম্ভব। এটি যুক্তিযুক্ত। এ বিষয়ে আমরা কাতারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব। আমাদের সব সময় চেস্টা করে যেতে হবে।’
মরু অঞ্চলের ছোট দেশ কাতারের জন্য বাড়তি আরো ১৬টি দলের আবাসনের ব্যবস্থা করাটা কিছুটা জটিল হতে পারে। কাতার ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দানের অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী ওই চারটি দেশ সম্পদশালী কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধও আরোপ করেছে।
এদিকে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল তাওয়াদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ৪৮ দলের অংশগ্রহণের প্রস্তাবটি নিয়ে তারা যাচাই-বাছাই করছে। তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা এখনো প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করছি। অচিরেই এ বিষয়ে আমরা একটি ভালো সিদ্ধান্ত দিতে পারবো।’
তিনি বলেন, অবরোধ সত্ত্বেও যথানিয়মেই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। তাওয়াদি বলেন, ‘কাজগুলো স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিতে পেরে আমরা খুশি এবং রোমাঞ্চিত। এই কাজ সঠিক পথেই এগুচ্ছে। ২০২০-২০২১ সালের মধ্যেই বিশ্বকাপের জন্য ৮টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে।’