রাজশাহীতে কৃষকরা সেচ কাজে প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করছে

755

রাজশাহী, ১১ মে, ২০১৮ (বাসস) : বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের জন্য প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারে কৃষকেরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে এবং বিগত বছরগুলোতে এ পদ্ধতি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।
বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( বিএমডিএ) ‘স্মার্ট কার্ড বেজড প্রিপেইড পাম্প ইউসাজ অ্যান্ড এনারজি মেজারিং সিস্টেম’- শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় এই কার্ড চালু করে।
রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২৫টি উপজেলায় তিন বছরের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
বিএমডিএ- এর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, আধুনিক এই পদ্ধতি প্রতিটি কৃষকের যথাযথ চাহিদা অনুযায়ী শস্যক্ষেতে সেচের পানি যোগান দেয়ায় আগাম অর্থ পরিশোধের কাজে ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতি চালু হলে শ্রমিক ও প্রান্তিক কৃষকদের অতিরিক্ত লোক নিয়োগের দরকার হয় না।
তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত উপযোগী পদ্ধতি যা মিটার উতপ্ত হওয়া ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে।
গত জুন মাস পর্যন্ত ৮২ হাজারের বেশি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। শস্য ক্ষেতে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সেচে প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার কৃষকদের শতকরা ৩০ ভাগ খরচ বাচার পাশাপাশি বিদ্যুৎ অপচয় ও প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে।
সেচের জন্য প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তাই কৃষক লাভবান হয়। রশিদ বলেন, ‘আমরা শত ভাগ গভীর নলকূপকে প্রিপেইড কার্ড পদ্ধতির আওয়তায় আনার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।’
দেশের উত্তরাঞ্চলে ১৪,৬৪২ টি বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপ (ডিটিডাব্লিউ) চালু করার মাধ্যমে ২দশমিক ৯৭ লাখ হেক্টর ইরি-বোরো জমিসহ ৭ দশমিক ৯২ লাখ হেক্টর জমি চাষপোযোগী জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।