বাসস দেশ-২৪ : যাপিত জীবনের সমস্যাকে সরকার উৎখাতের গোলা বানাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

160

বাসস দেশ-২৪
ইনু-সারওয়ার- শোকসভা
যাপিত জীবনের সমস্যাকে সরকার উৎখাতের গোলা বানাবেন না : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘যাপিত জীবনের সমস্যাগুলোকে কখনই সরকার উৎখাতের কামানের গোলা বানানো উচিত নয়। গণমাধ্যম জীবনের সমস্যা তুলে ধরে কিন্তু তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা উৎসাহিত করে না।
যাপিত জীবনের সমস্যাগুলোকে চক্রান্তকারীরা সরকার উৎখাতের কামানের গোলা বানানোর অপচেষ্টা চালায় উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রেখেই আইনকানুন প্রণয়ন করে, ফলে চক্রান্তকারীদের অপচেষ্টা সফল হবে না।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মিলনায়তনে পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সমকালের সাবেক সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
গত ১৩ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে গোলাম সারওয়ার প্রয়াত হন। মন্ত্রী এসময় গোলাম সারওয়ারের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সাংবাদিকতায় একাগ্রভাবে নিয়োজিত জীবনের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকে গণতন্ত্র ও ডিজিটাল সমাজের সাথে প্রতিনিয়ত খাপ খাওয়াতে হয়। কিন্তু গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কখনোই রাজনীতিতে জঙ্গিসন্ত্রাসী-রাজাকার-সাইবার অপরাধী থাকার ছাড়পত্র দেয় না।’
মন্ত্রী এ সময় ভারসাম্য বা নিরপেক্ষতার নামে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারকে একপাল্লায় মাপা গণমাধ্যমের কাজ নয় বলে স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কবরী সারওয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ স্মরণসভায় গালাম সারওয়ারের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ায় মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এসময় মন্ত্রীর সাথে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যসচিব আবদুল মালেক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় যোগ দেন।
বিএফইউজে সভাপতি মোল্লাা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন।
উল্লেখ্য, শ্রমিকের অভিধা থেকে মুক্ত করে সাংবাদিকদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী উত্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৮ গত ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পায়।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। এ আইনের মাধ্যমে পূর্বের নিউজ পেপার এমপ্লয়িজ কন্ডিশন সার্ভিস অ্যাক্ট-১৯৭৪ এবং শ্রম আইনের দ্বন্দ্ব নিরসন হবে এবং সম্প্রচার জগতসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মী গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেই স্বীকৃতি ও অধিকার পাবে।’
তারানা হালিম এসময় গণমাধ্যমের প্রতি শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিকতার কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন।
তথ্যসচিব আবদুল মালেক তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকল গণমাধ্যমকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বাসস/সবি/কেসি/১৮৫০/কেএমকে