বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান স্পিকারের

255

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তরুণ শিক্ষার্থীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের বিশ্ব নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতেও তরুণ সমাজের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ ঢাকার ধানমন্ডিতে ইউনিভারসিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীরাই সমাজ পরিবর্তনের দূত। তরুণরাই ইতিবাচক পরিবর্তন এনে গড়ে তুলবে সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যত বাংলাদেশ। সে কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে সচেষ্ট থেকে জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানান তিনি।
স্পিকার বলেন, তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিবে। উদ্ভাবনী কৌশল এবং গবেষণা কর্মের মাধ্যমে বিশ্বকে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিক তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ দ্রুত অগ্রসরমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তৃণমূলে সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত দশ বছরে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে। রপ্তানী আয়, রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে, ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে।
স্পিকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান কেন্দ্র। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সহনশীল পর্যায়ে খরচের মধ্যে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষায়িত শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষার্থীদের গুণগত উচ্চশিক্ষা প্রদান করায় ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়টিও অনুসরণযোগ্য বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মহাসড়কে অবস্থান করছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজতর করতে নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যা নতুন প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ইউল্যাব ইউনিভারসিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এইচ এম জহিরুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক এ্যামিরেটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম এবং ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. কাজী আনিস আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪বছরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
এ সময়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেক কেটে ইউনিভারসিটি অব লিবারেল আর্টস এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন।