বাজিস-৪ : পিরোজপুরে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকের কাছে চেক হস্তান্তর শুরু

116

বাজিস-৪
পিরোজপুর-চেক-হস্তান্তর
পিরোজপুরে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকের কাছে চেক হস্তান্তর শুরু
পিরোজপুর, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরও একটি স্বপ্নের সেতু ৮ম বাংলাদেশ- চীন মৈত্রী সেতুর (বেকুটিয়া সেতু) নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষে আজ প্রথম জমি অধিগ্রহণের টাকার চেক জমির মালিকের কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জমির একজন মালিক মরিচাল গ্রামের মজিবর রহমানের হাতে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের ভবনের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক- সাইফ মিজান স্মৃতি সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ মাহমুদ সুমনসহ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমুর বালাসহ জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, রাজাপুর- নৈকাঠী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর সড়কের ১২তম কিলোমিটারে বেকুটিয়ায় কচা নদীর উপর ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ সেতুটি জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে গভীর সমুদ্রবন্দর পায়রা, সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও বিভাগীয় শহর বরিশালের সাথে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল, সমুদ্রবন্দর মংলা ও শিল্পনগরী খুলনার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরোয়ার হোসেন জানান, এই সেতুটির এপ্রোচ সড়ক নির্মাণে নদীর দুই পাশের্^র ৩২.৮৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ১৯ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। চীনা অনুদান সহায়তায় বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়া কঁচা নদীর উপর সেতুটির নাম হচ্ছে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬০২/মরপা