বাসস দেশ-২২ : সমাজ বিনির্মাণে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের কোন বিকল্প নেই : সংস্কৃতিমন্ত্রী

333

বাসস দেশ-২২
নূর-আলোচনা-সভা
সমাজ বিনির্মাণে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের কোন বিকল্প নেই : সংস্কৃতিমন্ত্রী
নওগাঁ, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, সমাজ বিনির্মাণে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা দানবের সমাজ নয়, মানবের সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতি চর্চা বা সংস্কৃতি বিকাশের কোন বিকল্প নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি বান্ধব। তাঁরই অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।’
শনিবার বিকেলে একুশে’র চেতনায় লালিত ঐতিহ্যবাহি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের ২৫ বছরপূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একুশে পরিষদের সভাপতি ডি এম আব্দুল বারী’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার এমপি। এসময় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এবং পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, একুশে পরিষদের উপদেষ্টাগণ এবং সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, নারী ধর্ষণ করেছে, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, যারা গাছপালা- এমনকি কোরান শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়েছে এবং সবশেষে যারা হলিআর্টিজেন-এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের অভ্যন্তরীণ শেকড় একই। তারা সবাই দানব ছিল।
তিনি বলেন, একটি ফুলের বাগানে যদি নানান ধরনের ফুলের গাছ না থাকে, তাহলে ঐ বাগান যেমন সুন্দর হয় না, তেমনি একটি দেশে যদি নানান ধর্মের, নানান বর্ণের, নানান পেশার, নানান গোত্রের মানুষ না থাকে তাহলে ঐ দেশ সুন্দর হয় না।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ও চেতনার দেশ। এখানে সব ধরনের মানুষ আবহমান কাল থেকে এক সঙ্গে বসবাস করে আসছে। এটি আমাদের সংস্কৃতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ১৬ গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এউপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাঠিখেলা, পুথিপাঠ, যাত্রাপালা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও পরিষদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী গাছের চারা রোপণ, নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা এবং মৎস্য মানব বলে খ্যাত মিজানুর রহমান চৌধুরীর দুই ঘন্টাব্যপী পানিতে ডুবে থাকা কর্মসূচীর আয়োজন করে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএন/১৯১৫/-জেজেড