বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-টি-২০
টানা দশম সিরিজ জয় পাকিস্তানের
দুবাই, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ১১ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। একই সঙ্গে টি-২০ ফরম্যাটে টানা দশম সিরিজ জিতলো সরফরাজের আহমেদের দল।
গতরাতে দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ২৯ রানের সূচনা পায় পাকিস্তান। ১২ বলে ১১ রান করে ফিরেন বাঁ-হাতি ওপেনার ফখর জামান। এরপর ৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান আরেক ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। তবে ৭ রানের ব্যবধানে থামতে হয় বাবর ও হাফিজকে। বাবর ৪৪ বলে ৪৫ ও হাফিজ ৩৪ বলে ৪০ রান করেন।
বাবর-হাফিজ ফিরে যাবার পর দলকে বড় স্কোর এনে দিতে পারেননি পাকিস্তানের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৭ রানের লড়াকু স্কোর পায় পাকিস্তান। শেষের দিকে ফাহিম আশরাফ ১০ বলে অপরাজিত ১৭ ও শোয়েব মালিক ১২ বলে ১৪ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার নাথান কলটার নাইল ৩টি ও বেন স্টানলেক ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৪৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে এ ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩১ রানের মধ্যে ৩ ব্যাটসম্যানকে হারায় অসিরা। চতুর্থ উইকেটে ৩০ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দলীয় ৬১ রানে মার্শের পতনের পর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এক প্রান্ত আগলে অস্ট্রেলিয়ার আশা জাগিয়ে রেখেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। এর মাঝে টি-২০ ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ৩৩ রান প্রয়োজন পড়ে অস্ট্রেলিয়ার। ১৯তম ওভারে ১০ রান নিয়ে ২৩ রানের প্রয়োজন দাঁড় করার ম্যাক্সওয়েল ও নাইল।
কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাক্সওয়েল ও পঞ্চম বলে নাইলকে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা নসাৎ করে দেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ ও নাইল ১৭ বলে ২৭ রান করেন। পাকিস্তানের আফ্রিদি-শাহদাব খান ২টি করে উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৮ রানে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ১ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম।
আগামীকাল দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮১০/-স্বব