বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় কিস্তি) : আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

610

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় কিস্তি)
শেখ হাসিনা-নির্বাচন
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ যখন রজতজয়ন্তী উদযাপন করে তখন আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। আমার আমন্ত্রণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপ্লবী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম ইয়াসির আরাফাত ও তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল সেই উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের অসাধারণ উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ পুনর্নির্বাচিত হলে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবার ক্ষমতায় এলে জনগণ আরো সুন্দর জীবন পাবে এবং প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করা হবে।’
গ্রামে থেকেই জনগণ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং তাদের কোন কষ্ট করতে হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি দেন। যাতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো করে সাজাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছি এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে আমার এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
তাঁর সরকার জাতিকে ক্ষুধার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পেরেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ করা হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশকে আগামী শতাব্দিতে সবচেয়ে উন্নত দেশে পরিণত করতে এবং এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে এবং ‘এই হার আরো ৪/৫ শতাংশ কমানো গেলে আমরা বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ বলতে পারব।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তিনটি শর্ত পূরণ করে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘আমরা এ সাফল্য ধরে রাখতে চাই এবং এটিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে না তাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন তাদের এক নেতা বলেছেন, ‘পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে।’
‘প্রকৃত পরিস্থিতি দেখার জন্য তাকে পাকিস্তানে পাঠানো উচিত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরব ইসলামাবাদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য পাকিস্তানকে ৩শ’ কোটি ডলার দিয়েছে। এটিই হলো পাকিস্তানের অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মোটেই ঋণখেলাপি নই। আমরা নিয়মিত ঋণ শোধ করছি এবং ঋণ পরিশোধের জন্য আমাদের কারো কাছে হাত পাতার প্রয়োজন পড়ে না। তবুও যদি কেউ আমাদের উন্নয়ন দেখতে না পায়, আমরা বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
চলবে-/বাসস/এসএইচ/অনু-এইচএন/২২০০/মমআ/-জেহক