ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের অন্যতম কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে যুগোপযোগী শিক্ষা। আর সে শিক্ষার প্রধান অনুসঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা।
আজ আগারগাঁওস্থ বিসিসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও কোরিয়া ইন্টান্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কোইকা বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হেন জু ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ গ্রামে বসবাস করে। সকল এলাকায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌছে দিতে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকাসমূহ ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে ইন্টারনেটও যুক্ত হয়েছে। কোন ই-সার্ভিসই ইন্টারনেট ছাড়া সম্ভব নয়। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ সেবা অনলাইনের আওতায় আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্ত:ব্যাংক লেনদেন সহজ করতে অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সেবা চালু করা হয়েছে যা বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দিন দিন অনলাইন সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম। দেশের যে সকল এলাকায় ব্যাংক সুবিধা নেই কিংবা ব্যাংকহীন, সেসব এলাকার ৩০ লাখের বেশি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক পরিসেবা গ্রহণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।