রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

470

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘দলছুট আদর্শহীন নেতাদের দাবী আদায়ের সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ বিরোধী অনেক নেতাই তাদের সাথে নেই। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে। অপেক্ষা করুণ, অনেক কিছুই দেখতে পাবেন।’
তিনি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস এসোসিয়েশন(বাপা) আয়োজিত তিনদিনব্যাপী “৬ষ্ঠ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, কানাডা, মালয়েশিয়া, জার্মানী, আমেরিককা, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুরসহ ১৫টি দেশের ২৫৮টি স্টলে ১৮৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যান্ত মেলা দর্শনার্থীর জন্য খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা)এর প্রেসিডেন্ট এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্স বর্ধন শ্রিংলা, কানাডার রাষ্ট্রদূত বিনয় প্রিফেনটেইন, এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটর মনমহন প্রকাশ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং মেলা অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ‘নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না’ উল্লেখ করে বলেন, দেশের সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। দেশের সকল দল এতে অংশ নিবে বলে আমরা বিশ^াস করি। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সিলেট থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিবে। গতবারের মতো অগ্নিসংযোগ, হত্যার মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করা হলে তাদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় বিগত তিনমাসে কৃষি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৯৭.৩১ ভাগ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্য রপ্তানিতে সরকার ২০ ভাগ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। সে সময় খাদ্য শস্য উৎপাদন হতো ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন, এখন তা চারগুন বেড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ৪ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন।
বাণিজ্যমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, স্বাধীনতার পর সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, এখন ১৬ কোটির বেশি মানুষের খাদ্যের কোন অভাব নেই। খাদ্য শস্যের মজুত ১৪ লাখ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ২০.০৯ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সালে দেশের ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় হতো ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আজ ৭৪৪টি পণ্য ২০২টি দেশে রপ্তানি করে আয় হচ্ছে ৩৬.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেবা খাতের রপ্তানিসহ দেশের মোট রপ্তানি এখন ৪১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশে^র মধ্যে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪র্থ, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু উৎপদনে ৮ম এবং আম উৎপাদনে ৭ম স্থান অধিকার করে আছে।