বাসস দেশ-২১ : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোন আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার

117

বাসস দেশ-২১
ডিএমপি-ট্রাফিক শৃংখলা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোন আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো:আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আগামী দিনগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার কোন আশঙ্কা নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে চলমান বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দৃশ্যমান উন্নয়নের জন্য রাজধানীতে চলছে তৃতীয় বারের মতো ৭ দিনের (২৪ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত ) বিশেষ ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যেকোন সময়ের তুলনায় নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ট্রাডিশনাল অপরাধ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যেমন শক্ত অবস্থানে রয়েছে তেমনি মাদকদ্রব্য অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে গত ৫ থেকে ১৪ আগস্ট ঈদুল আযহার আগে ১০ দিনের ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি। এই ট্রাফিক সপ্তাহে যে অগ্রগতি হয়েছিল তা ধরে রাখতে আমরা ঈদুল আযহার পরে ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর মাস ব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছি। এই ট্রাফিক কর্মসূচি পালনে ট্রাফিক ব্যবস্থার কিছু উন্নয়ন হয়েছে তবে জনগণের যে প্রত্যাশা আমরা তা পূর্ণ মাত্রায় অর্জন করতে পারিনি।
বিগত ট্রাফিক কর্মসূচির সাফল্যের কথা উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে পালনকৃত ট্রাফিক কর্মসূচিতে উল্টোপথে চলাচল, হাইড্রলিক হর্ণ, মোটরসাইকেল, হুটার/বিকন লাইটের ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম ১০ দিন ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মাস ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহে আইন ভঙ্গের দায়ে ১৪ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন,আগের ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশকে ৪০০ রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা সহায়তা করেছে। ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি ৫৪টি চেকপোস্ট করা হয়। ৩০টি ফুটওভার ব্রীজে অতিরিক্ত পুলিশ ও রোভার স্কাউট মোতায়েন করা হয়।
ডিএমপি’র এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন,নগরীর ১৩০টি পয়েন্টে বাস স্টপেজ লেখা সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অনেক স্থানে রোড মার্কিং ও জেব্রা ক্রসিং দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসব বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে পত্রালাপও করা হয়েছে।
চলমান বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এবারের ট্রাফিক সপ্তাহে আমাদের মূল কাজ হচ্ছে- পথচারীরা যাতে রাস্তা পারাপারে অবশ্যই ফুটপাথ-ফুটওভার ব্রীজ-আন্ডারপাস-জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করে সেদিকে সচেতনতার পাশাপাশি আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/১৮৩৩/জেহক