এসি-ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়লো

579

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে এসি-ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আরো ২ বছর বাড়ানো হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দেশীয় উৎপাদকরা। একইসঙ্গে শর্তসাপেক্ষে এসি-ফ্রিজের কমপ্রেসার উৎপাদনেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। গত রোববার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র দেশীয় কোম্পানি এসি-ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে। তবে এ সুবিধা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে।এছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ থাকতে হবে। এসব মেশিন যাচাই-বাছাই করবে এনবিআর গঠিত যাচাই কমিটি।ওই কমিটির পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হবে। শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে কেউ সুবিধা পাবে না।
অন্যদিকে এসি-ফ্রিজের কমপ্রেসার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা নিতে হলে শর্ত মানতে হবে।এর মধ্যে উল্লেখ্য-উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ১৬ ধরনের মেশিন থাকতে হবে। এ মেশিনের তালিকা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।আগে কমপ্রেসার তৈরির জন্য এসব যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিভিন্ন হারে সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ফলে একদিকে দেশীয় কোম্পানিগুলো এসি-ফ্রিজ উৎপাদনে এগিয়ে আসবেন। অন্যদিকে ফ্রিজ-এসি আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে ও ক্রেতারা কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে পারবেন।
প্রসঙ্গত,২০১০ সালের ১০ জুন রেফ্রিজারেটর ও মোটরসাইকেল উৎপাদকদের স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়। এ সুবিধার মেয়াদ ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত। তবে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর এসআরও মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর এয়ারকন্ডিশন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেয়া হয়।এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। চলতি বাজেটে অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। গত ২১ অক্টোবর পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়।