দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৪৬ রান

264

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে ব্রেন্ডন টেইলর ৭৫, সিকান্দার রাজা ৪৯ ও সিন উইলিয়ামস ৪৭ রান করেন। সাইফ উদ্দিন নেন ৩ উইকেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের ওপেনার ও অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। অবশ্য ২টি চার দিয়ে নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ রানেই থেমে যান মাসাকাদজা। বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ের দলপতি।
দলীয় ১৮ রানে অধিনায়ককে হারানোর পর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার চেপাস ঝুয়াও ও তিন নম্বরে নামা ব্রেন্ডন টেইলর। তাদের মার মুখি মেজাজে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে জিম্বাবুয়ের রানের গতিও চলতে থাকে। তবে ১২তম ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৭ বলে ২০ রান করে মিরাজের শিকার হন ঝুয়াও। দ্বিতীয় উইকেটে টেইলরের সাথে ৪৩ বলে ৫২ রান যোগ করেন ঝুয়াও।
ঝুয়াওর বিদায়ে ক্রিজে টেইলরের সঙ্গী হন সিন উইলিয়ামস। এ জুটির কল্যাণে দলীয় স্কোর দেড়শ’ কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৫তম হাফ- সেঞ্চুরির স্বাদও নিয়ে নেন টেইলর।
তবে দলীয় ১৪৭ রানে টেইলর-উইলিয়ামসের জমে উঠা জুটিতে ভাঙ্গন ধরান বাংলাদেশের অকেশনাল অফ-স্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। লেগ বিফোরে ফাঁদে পড়ার আগে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৩ বলে ৭৫ রান করেন টেইলর। তৃতীয় উইকেটে টেইলর-উইলিয়ামস ১০৫ বলে ৭৭ রান দেন দলকে।
টেইলর ফিরে গেলেও উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে চড়ে বড় স্কোর গড়ার ভিত গড়তে থাকে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু বেশি দূর এক সাথে যেতে পারেননি উইলিয়ামস ও রাজা। তাদের পথে বাধাঁ হয়ে দাড়ান বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট শিকার করা সাইফউদ্দিন। ২টি চারে ৭৬ বলে ৪৭ রান উইলিয়ামসকে থামান সাইফ উদ্দিন।
এরপর পিটার মুরকে নিয়ে দলের স্কোর বড় করছিলেন রাজা। হাফ-সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখতে শুরু করেন রাজা। তবে রাজার স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। উইকেটের পেছনে রাজাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ম্যাশ। তাই হাফ-সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে, অর্থাৎ ৪৯ রানে থামেন রাজা। তার ৬১ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো।
রাজার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি মুরও। নামের পাশে ১৭ রান রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে না পারায় আড়াইশ’ রানও করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের সাইফ উদ্দিন ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন। মাশরাফি, মিরাজ, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।
স্কোর কার্ড :
জিম্বাবুয়ে ইনিংস :
মাসাকাদজা ক মুশফিক ব সাইফ উদ্দিন ১৪
ঝুয়াও ক রাব্বি ব মিরাজ ২০
টেইলর এলবিডব্লু ব মাহমুদুল্লাহ ৭৫
উইলিয়ামস ক মুশফিক ব সাইফ উদ্দিন ৪৭
রাজা বোল্ড ক মুশফিক ব মাশরাফি ৪৯
মুর ক মিরাজ ব মুস্তাফিজ ১৭
চিগুম্বুরা ক নাজমুল ব সাইফ উদ্দিন ৩
মাভুতা অপরাজিত ৯
তিরিপানো অপরাজিত ৩
অতিরিক্ত (বা-৫, লে বা-৩, ও-১) ৯
মোট : (৭ উইকেট, ৫০ ওভার) ২৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (মাসাকাদজা), ২/৭০ (ঝুয়াও), ৩/১৪৭ (টেইলর), ৪/১৮৮ (উইলিয়ামস), ৫/২২৯ (রাজা), ৬/২২৯ (মুর), ৭/২৩৪ (চিগুম্বুরা)।
বাংলাদেশ বোলিং :
মাশরাফি : ১০-০-৪৯-১,
মুস্তাফিজুর : ১০-০-৩৫-১,
সাইফউদ্দিন : ১০-১-৪৫-৩,
মিরাজ : ৭-০-৪৫-১ (ও-১),
নাজমুল : ১০-০-৪৩-০,
মাহমুুদুল্লাহ : ৩-০-২১-১।