বাসস দেশ-১৬ : চোখ হারানো ১৭ জনের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ

127

বাসস দেশ-১৬
হাইকোর্ট-রায়
চোখ হারানো ১৭ জনের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ
ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে চোখ হারানো ১৭ জনের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন। ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির (আইরিশ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
রায়ের পরে অমিত দাসগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল ১৭ জনকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে প্রত্যেকের সারা জীবনের চিকিৎসার ব্যয়ভার ইমপ্যাক্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের হাসপাতালে অথবা ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে বহন করবে।’
তিনি জানান, আইরিশ কোম্পানি যারা রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি ওষুধ সরবরাহ করেছিলো তাদের ৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেক রোগীকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি বলেন, দেশে মেডিকেল নেগলিজেন্সির বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত আইন ও ব্যবস্থা নেই। তাই ৭ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে, এ কমিটির প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। ভবিষ্যতে মেডিকেল নেগলেজেন্সি ঘটলে সেটি তারা দেখবেন এবং ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এ রিটের পর ১ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৮২৩/এমকে