বাসস দেশ-৪
মানব পাচার-শ্রমিক-খরচ
মানব পাচার রোধ এবং প্রবাসে শ্রমিক নিয়োগ খরচ হ্রাসে বাংলাদেশের আহ্বান
ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানব পাচার রোধে জিরো টলারেন্স এবং প্রবাসে শ্রমিক নিয়োগ খরচ হ্রাস সংক্রান্ত বৈশ্বিক আহ্বান জাতিসংঘে তুলে ধরলেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি ৭৩তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটির আওতায় ‘বিশ্বায়ন ও পারস্পারিক নির্ভরশীলতা’ বিষয়ক এক আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে এই আহ্বান করেন তিনি।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বক্তব্যের অংশ বিশেষ উদ্বৃত করে বলেন, ‘মানব পাচার রোধ এবং প্রবাসে শ্রমিক নিয়োগ খরচ হ্রাস করে তা সহনীয় পর্যায়ে আনতে প্রযোজ্য নীতিমালা ও পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই একসঙ্গে এবং সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে প্রায় ২৫৮ মিলিয়ন অভিবাসী মানুষের গতিশীলতা এ বিশ্বে একটি অপরিহার্য বিষয় যা অনুধাবন করে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অভিবাসী মানুষদের কল্যাণে জাতিসংঘে আলাদাভাবে ‘গ্লোবাল মাইগ্রেশন কম্প্যাক্ট’ এর প্রস্তাবনাটি নিয়ে আসে। এই মাইগ্রেশন কম্প্যাক্টে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্বপ্রণোদিত, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশগ্রহণ এবং আলোচনা অব্যাহত রাখার কারণে অভিবাসন বিষয়টি নিয়মিতভাবে জাতিসংঘের মূল আলোচ্য ধারায় স্থান করে নিয়েছে।
এই কম্প্যাক্টের সবচেয়ে বড় অর্জন হল অভিবাসন সংক্রান্ত বৈশ্বিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি বৈশ্বিক প্লাটফর্ম প্রাপ্তি। একটি বৃহৎ অভিবাসী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।
‘গ্লোবাল মাইগ্রেশন কম্প্যাক্ট’ চূড়ান্ত করার জন্য রাষ্ট্রদূত মাসুদ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘ মহাসচিব, মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি লুইস আরবরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও সম্পদ সৃষ্টিতে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ব্যাপক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালায় অভিবাসনকে বিশেষ স্থান দিয়েছে মর্মেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
এ সময় অভিবাসীদের জন্য আরও বেশ কিছু করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠেয় আসন্ন সম্মেলনে ‘গ্লোবাল মাইগ্রেশন কম্প্যাক্ট’ সফলভাবে গৃহীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
বাসস/সবি/এসই/১২৫৫/আরজি