বাজিস-৪ : বিষমুক্ত ফল চাষীদের মডেল হবিগঞ্জের জয়নাল

166

বাজিস-৪
হবিগঞ্জ-জয়নাল
বিষমুক্ত ফল চাষীদের মডেল হবিগঞ্জের জয়নাল
হবিগঞ্জ, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : ফরমালিনযুক্ত ফলে সয়লাব সারাদেশ। ফলমূলে কেমিক্যালের বিষয়টি যেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশী মুনাফার লোভে বিষ মেশানো ফলমূল বিক্রি এবং উৎপাদনের দিকে দিনদিন ঝুঁকছেন ব্যবসায়ী ও চাষীরা। তবে বেশি ফলন এবং অতি মুনাফা লাভের উর্ধ্বে থেকে বিষমুক্ত কলা চাষ করছেন হবিগঞ্জ জেলার গুঙ্গিয়াজুরী হাওর এলাকার টঙ্গিরঘাট গ্রামের জয়নাল আবেদীন। এতে এলাকাবাসীকে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানোসহ নিজেও দেখেছেন সাফল্যের মুখ।
জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি মাছ চাষের জন্য বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাওর জমিতে পুকুর করেছেন। প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে পুকুরটির চারপাশে লাগিয়েছেন ৯শ’টি সবরি কলার গাছ। প্রতি গাছ বছরে ১টি করে কলার ছড়ি দিলেও তিনি পান ৯শ’টি ছড়ি। প্রতিটি ছড়ির পাইকারী মূল্য গড়ে ৭৫০ টাকা। এতে বছরে তিনি সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। তবে একেকটি গাছে অনেক সময় একাধিক কলার ছড়িও পাওয়া যায়।
জয়নাল আরো জানান, নামেমাত্র মূল্যে কলার চারাগুলো রোপণ করে একটু খাটুনী দিয়েই তিনি করতে পেরেছেন বিষমুক্ত কলার চাষ। তবে চারা রোপণের শুরুর দিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি আগাছানাশক একটি ওষুধ ব্যবহার করেন। শুধু কলা চাষই নয়। ইতোমধ্যে তিনি তার পুকুরের আশপাশে আরো বিভিন্ন ফল এবং বিষমুক্ত সবজি চাষের পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, শুধু মুনাফা লাভের আশায় নয়। তিনি প্রমাণ করতে চান ‘ইচ্ছা করলেই বিষযুক্ত ফল বর্জন করা যায়’। তার এই চেষ্টার প্রতি স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আরও অনেকেই এভাবে বিষমুক্ত কলা এবং শাক-সবজি চাষের পরিকল্পনা নিচ্ছেন।
হবিগঞ্জ জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, জয়নাল আবেদীনের কলা চাষের ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়। কলা চাষে তেমন বেশি অর্থেরও প্রয়োজন হয় না। জেলা কৃষিক সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব চাষীদের সময়মত সব ধরনের সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। বিষমুক্ত সবজি চাষের ব্যাপারে চাষীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করে থাকেন তারা।
বাসস/সংবাদাতা/১৮২৫/-মরপা