হবিগঞ্জে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

193

হবিগঞ্জ ১৭ অক্টোবর ২০১৮(বাসস) ; জেলার রামকৃষ্ণ মিশনে আজ হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় অষ্টমী তিথিতে অপরাজিতা নামে পূজিত হন ৯ বছর বয়সী ব্রাহ্মণকন্যা জয়িতা চক্রবর্তী।
কুমারী জয়িতা হবিগঞ্জ পৌরসভার চিড়াকান্দি বাগানবাড়ি এলাকার অসিত চক্রবর্তী ও সোনালী চক্রবর্তীর মেয়ে। সে বিকেজিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
কুমারী পূজা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়ে হিমশিম খেতে দেখা গেছে আয়োজকদের।
পূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। ওই এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতেও নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়।
এদিকে, কুমারী পূজা দেখতে হবিগঞ্জ জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পূণ্যার্থী সমবেত হন। পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে রামকৃষ্ণ মিশন এলাকা। শুধু হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তরাই নন, পূজায় মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মেও লোকজনেরও সমাগম ঘটে।
রামকৃষ্ণ মিশনের পুরো এলাকাসহ বিভিন্ন মন্ডপ নিয়ে আসা হয় ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার আওতায়। বুধবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পূজা রামকৃষ্ণ মিশন রোড দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হয়নি। প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয় পুলিশ চেকপোস্ট।
এদিকে বাহুবল উপজেলার জয়পুরে অবস্থিত জেলার সবচেয়ে বড় সনাতন ধর্মালম্ভীদের তীর্থ স্থান শচী অঙ্গণে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অগনিত ভক্তের পুজা অর্চনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজায় এ বছর ১১ বছর বয়সী এক কণ্যা শিশু কুমারী হিসাবে পূজিত হন। বয়স অনুসারে তার নামকরণ করা হয়েছে রুদ্ররানী।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মাঝে শেষ হয় কুমারী পূজা। এ উপলক্ষে শচী অঙ্গণ ধামে আয়োজন করা হয় ব্যাপক অনুষ্ঠান। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু হবিগঞ্জ থেকে নয়, জেলার বাহিরের প্রচুর লোকসমাগম ঘটে সেখানে।
বাহুবল পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাক ঢোল ও শংখ বাজিয়ে উলুদ্ধনির মাধ্যমে কুমারীকে দেবী সাজিয়ে আনা হয় পূজার বেদীতে। বসান হয় সুসজ্জিত আসনে। এরপর শুরু হয় পূজা অর্চনা। ১২টার মাঝে শেষ হয় সকল আনুষ্ঠানিকতার। এর আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা।