গ্রুপ থিয়েটার নির্বাচনে লাকী চেয়ারম্যান ও কামাল বায়েজীদ সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত

742

ঢাকা, ৬ মে, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী এবং সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা কামাল বায়েজীদ।
গতকাল শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। বেলা তিনটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গত মধ্যরাতে ১টা ১০ মিনিটে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার এস এম মহসীন।
নির্বাচনে লিয়াকত আলী লাকীর প্যানেল একটি পদ ছাড়া সবগুলো পদে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে মোট ৩৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে লাকীর প্যানেল ৩৭ এবং ঝুণা চৈৗধুরীর প্যানেল থেকে ১টি পদে বিজয়ী হন।
সভাপতিম-লীর সদস্য পদে বিজয়ীরা হচ্ছেন, লাকী ইনাম (কেন্দ্র),অনন্ত হীরা ( কেন্দ্র), উত্তম কুমার সাহা (ঢাকা বিভাগ), মোসলেম উদ্দিন সিকদার (চট্টগ্রাম বিভাগ), আব্দুল মোমিন বাবু (মমিন বাবু), (রাজশাহী বিভাগ), রাজ্জাক মুরাদ (রংপুর বিভাগ) মো. নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস (খুলনা বিভাগ), অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্ত¦নু (সিলেট বিভাগ), শুভংকর চক্রবর্তী (বরিশাল বিভাগ),শাহদাত হোসেন খান হীলু (ময়মনসিংহ বিভাগ)।
অন্যান্য সম্পাদক পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জেনারেল চন্দন রেজা, রফিক উল্লাহ সেলিম (অর্থ), মাসুদ পারভেজ মিজু (প্রকাশনা), অভিজিৎ সেনগুপ্ত (প্রশিক্ষণ),মাসুদ আলম বাবু (প্রচার), আব্দুল হালিম আজিজ (তথ্য ও গবেষণা), ড. চঞ্চল সৈকত (আন্তর্জাতিক), কামরুন নূর চৌধুরী (অনুষ্ঠান), খোরশেদুল আলম (দপ্তর), তপন হাফিজ সাংগঠনিক (ঢাকা মহানগর), রফিকুল ইসলাম মোল্লা সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), সাইফুল আলমসহ (চট্টগ্রাম বিভাগ) দেশের দশটি বিভাগে মোট ৩৮ জন নির্বাচত হন এ নির্বাচনে।
নির্বাচনে ঢাকাসহ সারাদেশের মোট ২৩২ নাট্য সংগঠনের সদস্যরা ভোট প্রদান করেন। বিজয়ীরা আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
গ্রুপ থিয়েটার সম্মেলন শুরু হয় গত শুক্রবার। গতকাল রাতে ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করার মধ্য দিয়ে এবারে দুদিনের সম্মেলন শেষ হয়।
ঘোষণায় লাকী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা, স্বপ্ন ও সংগ্রামের বাতিঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আমাদের সংস্কৃতি। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের এই শিল্প-সংস্কৃতি জাতির সকল দুর্যোগে দেশের মানুষকে রেখেছে ঐক্যবদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বলীয়ান। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি আমাদের এই অর্জনকে ও আগামীর সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করে দেবার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অশুভ শক্তি বারবার আঘাত হানার চেষ্টা করছে। এই সম্মেলন মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের উত্থানেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির অশুভ প্রভাব সংস্কৃতির বিকাশমান ধারাকে ব্যহত করছে। সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা এখন সময়ের দাবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বলীয়ান হয়ে সংস্কৃতির বিকাশমান ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আজকের এই সম্মেলন। সকল অবক্ষয় দূর করে সংস্কৃতির বিকাশমান ধারা ও প্রগতির যাত্রা পথে আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে বাংলাদেশের নাটক, বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃিত।