বাজিস-১১ : ময়মনসিংহে সিটি কর্পোরেশনের গেজেট প্রকাশ হওয়ায় আনন্দ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা

131

বাজিস-১১
ময়মনসিংহ-গেজেট
ময়মনসিংহে সিটি কর্পোরেশনের গেজেট প্রকাশ হওয়ায় আনন্দ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা
ময়মনসিংহ, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : গত ১৪ অক্টোবর রাতে, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ময়মনসিংহ মহানগরসহ জেলাবাসীর মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রায় ৯০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে দেশের ১২তম সিটি কর্পোরেশনে পরিণত হল ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন গঠনের মধ্য দিয়ে এই বিভাগের দীর্ঘদিনের বৃহৎ একটি প্রত্যাশা পূরণ হলো।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান জানান, বিধি অনুযায়ী শিগগির স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ করবে এবং সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়াও ওয়ার্ডের সীমানা চিহ্নিত, ভোটার ও জনসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় বর্তমান মেয়র ইকরামূল হক টিটুর পক্ষ থেকে উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিভিন্ন মহল্লায় আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পৃথক বিবৃতিতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। যারা কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা হলেন- ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহ্মুদ হাসান, ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ^াস, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভার সর্বশেষ মেয়র ইকরামূল হক টিটু, ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ হারুন অর রশীদ, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আমিনুল হক শামীম (সিআইপি), ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমীন কালাম, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
যেসব এলাকা সমন্বয়ে কর্পোরেশন গঠিত হয়েছে এগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহ টাউন, গোহাইলকান্দি, গলগন্ডা, বলাশপুর, কাশর, ভাটিকাশর, সেহড়া, কৃষ্টপুর, কেওয়াটখালী, চকছত্রপুর, রাক্তা, ঢোলাদিয়া, মাসকান্দা, বয়রা-ভালুকা, ছত্রপুর, আকুয়া (আংশিক), বাড়েরা, কল্পা, চর সেহড়া, হাসিবাসী, বাদেকল্পা, বাইসাখাই, খাগডহর, সুতিয়াখালী, রহমতপুর (আংশিক), কিসমত, বেলতলী, দাপুনিয়া (আংশিক), চর ঈশ^রদিয়া, গোবিন্দপুর, চর রঘুরামপুর ও জেলখানার চর (আংশিক)।
উল্লেখ্য, ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা সদরের পত্তন হয় এবং ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ শহরের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে পৌরসভা গঠিত হয়। ২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন পূর্ণাঙ্গতা লাভ করল।
উল্লেখ্য যে, ময়মনসিংহ শহরের গোড়া পত্তন হয় ১৮১১ সালে। মুক্তাগাছার জমিদার রঘুনন্দন আচার্য শহরের জন্য জায়গা দেন। ১৮৮৪ সালে রাস্তায় প্রথম কেরোসিনের বাতি জ্বালানো হয়। ১৮৮৬ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ ও ১৮৮৭ সালে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। ময়মনসিংহ পৌরসভা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা। ১৮৬৯ সালে পৌরসভাটি স্থাপিত হয়। তখন এর নাম ছিল নাসিরাবাদ টাউন কমিটি। ১৯০৫ সালে নাসিরাবাদের পরিবর্তে ময়মনসিংহ নাম ধারণ করে। ১৯৭২ সালে ময়মনসিংহ টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে ময়মনসিংহ পৌরসভা নামকরণ করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৮০০/মরপা