বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের যথোপযুক্ত জবাব দেব : প্রধানমন্ত্রী

135

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পদ্মা সেতু-পরিদর্শন
আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের যথোপযুক্ত জবাব দেব : প্রধানমন্ত্রী

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সভায় বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুকে “গর্বের সেতু” হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, সেতুটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর উপর ডেক দিয়ে মোটরযান ও নিচের ডেক দিয়ে রেল চলাচল করবে।
সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ অঞ্চলের ১৯টি জেলার সাথে সরাসরি রাজধানী ঢাকার সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই জেলাসমুহের জনগণের জীবন-যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাক্কলিত ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই পদ্মা সেতু জাতীয় অর্থনীতিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি অর্জন করবে এবং ০. ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। এর সামগ্রিক কাজ ৬০ শতাংশ এবং মূল সেতুর ভৌতিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৭০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ৫ম স্প্যান লাগানোর পর মোট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল স্থাপনার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
প্রমত্ত পদ্মা নদীর ব্যবস্থাপনাকে কঠিন চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে স্থায়ী নদী সুরক্ষার ৪৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড যথাযথ মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে “পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রকল্প” শেষ করবে।
তিনি বলেন, দেশের আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ প্রকল্পের উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকে মোটরযানের সাথে সাথে ট্রেনও চলাচল করবে।”
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প ২০১৬’র ৩ মে একনেকে পাস হয়েছে।
অত্যাধুনিক ট্রাফিক নকশা অনুযায়ী ৫৫ কিলোমিটার ঢাকা (যাত্রবাড়ি)-মাওয়া এবং পাছচর-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এতে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ের উভয় দিকে ধীরগতির যানবাহনের জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার চওড়া লেন এবং মহাসড়কের মাঝ বরাবর ৫ মিটার চওড়া সড়ক বিভাজক থাকবে।
এই বিভাজক স্থানে মেট্রো রেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার সুযোগ থাকবে।
বাসস/কেকে/১৭১০/এমএসআই/আরজি