বাসস দেশ-৬ : খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলা চলবে

151

বাসস দেশ-৬
হাইকোর্ট-চ্যারিটেবল-আদেশ
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলা চলবে
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার বিচার কার্যক্রম চলবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে- বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আনা রিভিশন মামলা আজ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
দুদকের পক্ষে এডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলতে বাধা নেই।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গত ২০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া।
গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে। আইন মন্ত্রণালয়ের ওই গেজেটে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ চলছে।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ মামলায় রায় দেয় বিচারিক আদালত। ওইদিন থেকেই কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মোশররফ হোসেন কাজল বাসস’কে বলেন, এ মামলার আসামি চারজন, বেগম খালেদা জিয়া, তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ের রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর মধ্যে খালেদা জিয়া, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান কানাবন্দি। হারিছ চৌধুরী পলাতক।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৪১০/আরজি