বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : সরকার দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে : প্রধানমন্ত্রী

334

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-বাণী
সরকার দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০), ধ্বংসস্তূপ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬, দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬ প্রণয়ন করেছে। গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাসমূহে ২০৭৮ কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড করা হয়েছে এবং আরো ১০৬৮ কিলোমিটার রাস্তার হেরিং বোন করার কাজ চলমান আছে।’
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে আরো বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬৪৩টি বন্যা/ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং গ্রামীণ জনপদে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাত প্রশমনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দেশে ৩১ লক্ষাধিক তালগাছ বীজ বপন করা হয়েছে। জাতীয় বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত নিরোধক দন্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্যে ‘ কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’র মূল সুর প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সর্বপ্রথম তিনিই মুজিব কিল্লা নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগে জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
তিনি (বঙ্গবন্ধু ) ১৯৭৩ সালে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন যা দুর্যোগ সতর্কবার্তা প্রচার ও সাড়াদান কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে বলেও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/২০২০/কেজিএ