বাসস দেশ-১৩ : বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থগুলো পড়তে শিশু-কিশোরদের প্রতি তারানা হালিমের আহ্বান

315

বাসস দেশ-১৩
তারানা-ডিআরইউ-সাংস্কৃতিক
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থগুলো পড়তে শিশু-কিশোরদের প্রতি তারানা হালিমের আহ্বান
ঢাকা, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : তথ্য প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের অনুপ্রেরণা পেতে শিশু-কিশোরদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থগুলো পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,“আমি শিশু-কিশোরদের প্রতি অনুরোধ ও আহ্বান জানাবো, তোমরা জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইগুলো পড়বে। জাতীয় সংসদে জাতির পিতার দেয়া বক্তব্যগুলো পড়বে। সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখবে।”
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠনের সদস্য সন্তানদের নিয়ে ‘শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিশু-কিশোরদের প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ‘শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮’-এর আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী ও সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌসী পান্না বক্তব্য দেন।
এরআগে আজ সকালে ডিআরইউ চত্ত্বরে বেলুন উড়িয়ে ‘শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮’ এর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায়। এজন্য আমাদের নিজস্ব সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ও চর্চা করতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
এডভোকেট তারানা হালিম শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আদর্শ লিপিতে ‘গুরুজনদের মান্য করিবে’, ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’, ‘সদা সত্য কথা বলিবে’-প্রভৃতি চিরন্তন বাণীসমূহ শিশু-কিশোর, সোনামনিদের পড়তে হবে। আদর্শলিপির আদর্শগুলো পড়তে হবে, নিজেদের মধ্যে তা ধারণ করতে হবে এবং সেইভাবে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হবে। আদর্শগুলোকে সামনের দিকে না নিয়ে আসলে আমরা ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো না।
চলতি বছর দিনব্যাপি এই সাংস্কৃতিক উৎসবে সংগীত বিভাগে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পি ফরিদা পারভীন, চিত্রাংকণে শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রকলার পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান ও আবৃত্তিতে যোবায়ের রহমান বাবু।
এই উৎসবে মোট ৭৬ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে মোট ২৭ জন পুরস্কার লাভ করে। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
বাসস/এএসজি/এমএন/১৯১০/কেজিএ