রায় পর্যালোচনা করে তারেকের দন্ড বিষয়ে আপিল : এটর্নি জেনারেল

187

ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় পর্যালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দন্ড বৃদ্ধির জন্য আপিল করা হবে।
এটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখব। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃতুদন্ড হওয়া উচিত ছিল, তবে তার দন্ড বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করব। এর সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।
মৃত্যুদন্ডের ক্ষেত্রে অনেক দেশেই দন্ডিতকে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয় উল্লেখ করে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অপরাধীকে আশ্রয় দেয়া সমর্থন করে না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের তো যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তাই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।
মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে দ্রুত শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ে যাদের মৃত্যুদন্ড হয়েছে তাদের আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের কপি দেয়া হয়। আর তারা যদি আপিল ফাইল করে, তবে সেটাও ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেব। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরি করার বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেব।
এটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকেরও সাজা হয়েছে। এখানে আমরা অনুমান করছি, বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য পাকিস্তান এখনও নিবৃত্ত হয়নি। পাকিস্তান এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাকিস্তানের ইন্দন থাকতে পারে।
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট সংগঠিত ভয়াবহ, বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘ ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রায় ঘোষণা করেছেন বিচারিক আদালত। রায়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদন্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অন্য ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। নজিরবিহীন ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মোট ৪৯ আসামীর প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আসামীদের মধ্যে ৩১ জন কারাগারে রয়েছে। ১৮ জন এখনো পলাতক।