বাসস দেশ-২৮ : সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হোক : যুবলীগ চেয়ারম্যান

631

বাসস দেশ-২৮
যুবলীগ-রায়-বিবৃতি
সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হোক : যুবলীগ চেয়ারম্যান
ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২১ আগস্ট নৃশংসতম হত্যাকান্ডের জন্য বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালতে যে যুক্তি তর্ক ও বিবরণী উঠে এসেছে তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে শুধু তারেক জিয়াই নয় এবং পুরো বিএনপি জড়িত ছিল।
ওমর ফারুক বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে ঘোষিত হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের বর্বরতম হামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এই হামলার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, বিএনপির তৎকালীণ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপির আরো অনেক নেতা, তারেকের রাজনৈতিক কার্যালয় হাওয়া ভবন, সর্বপরি দল হিসেবে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হলো। দফাগুলো হচ্ছে-
১। আদালতের রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সংঘটিত গ্রেনেড হামলার সংগে জড়িত। তাই তারা কোন ভাবেই এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এখানেই শেষ নয়। ঘটনার পর তৎালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা কওে যা এই রায়ের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এই রায় প্রমান করে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং বিএনপি গনতান্ত্রিক রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তাই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অনতিবিলম্বে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
২। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে প্রমানিত হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ছিলেন ওই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড। আদালত এই অপরাধে তারেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। তাই অবিলম্বে মানবতা বিরোধী অপরাধী তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করতে হবে।
৩। ২১ আগস্ট নৃশংস, ঘৃন্য হত্যাযজ্ঞে যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে তারেক জিয়া ছাড়াও আরও ১৭জন বিভিন্ন দেশে পলাতক। আদালত থেকে দন্ডিত এই ১৭ জন পলাতক আসামীকেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪। এই মামলার রায় থেকে স্পষ্ট হয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের দায় কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া তার পুত্র তারেক জিয়াকে বাঁচানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া ও তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার যে চেষ্টা হয়েছিল, তার সবটাই হয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং নির্দেশে। তাই হাইর্কোটে যেন বেগম জিয়ার দন্ড চেয়েও আবেদন করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছে যুবলীগ।
৫। অবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর করতে হবে।
বাসস/সবি/এমএএস/২১৩০/কেজিএ