বাসস ক্রীড়া-৩ : প্রথমবারের মত ইতালি দলে ডাক পেলেন টনেলি, পিচ্চিনি

130

বাসস ক্রীড়া-৩
ফুটবল-ইতালি
প্রথমবারের মত ইতালি দলে ডাক পেলেন টনেলি, পিচ্চিনি
মিলান, ৯ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি দলে ডেকেছেন দুই ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ানো পিচ্চিনি ও লোরেনজো টনেলিকে। ইনজুরি আক্রান্ত তিন খেলোয়াড় ডানিলো ডি’আমব্রোসিও, প্যাট্রিক কাটরোন ও এ্যালেসিও রোমাগনোলির জায়গায় তাদেরকে ডাকা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার জেনোয়াতে প্রীতি ম্যাচে আজ্জুরিরা ইউক্রেনের মোকাবেলা করবে। চারদিন পর চোরজোতে নেশন্স লিগে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।
২৬ বছর বয়সী পিচ্চিনি ২০১৪ সালের পর থেকে ইতালির বাইরে খেলছেন। এবারের মৌসুমে স্পোর্টিং লিসবন থেকে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ায় যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে ২৮ বছর বয়সী টনেলি এবারের মৌসুমে নাপোলি থেকে সাম্পদোরিয়ায় যোগ দেবার পর থেকে নিজেকে প্রমান করে চলেছেন।
এ সম্পর্কে মানচিনি বলেছেন, ‘ডি’আমব্রোসিও, রোমাগনোলি ও কাটরোন বিভিন্ন ধরনের শারিরীক সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরেছিল। যে কারনে আমরা সাম্পদোরিয়া থেকে টনেলি ও ভ্যালেন্সিয়া থেকে পিচ্চিনিকে দলে ডেকেছি। আজই তারা দলের সাথে যোগ দিবে। এর মধ্যে পিচ্চিনির ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছে। আমি তার খেলা বেশ কয়েকবার দেখেছি। ভবিষ্যতে সে ইতালির গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারে।’
ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুটি ম্যাচে জয়ী হতে ব্যর্থ হওয়ায় ইতালি মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে নেশন্স লিগে নিজেদের গ্রুপের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু মানচিনি বলেছেন ইতালির পুনর্গঠনে সকলকেই ধৈর্য্য ধরতে হবে। গত ৮০ বছরে এই প্রথমবারের মত ইতালি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারেনি। গত মে মাসে আজ্জুরিদের দায়িত্ব নেয়া মানচিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি যে এই পথ মোটেই সহজ নয়। ধৈর্য্য নামক শব্দটি আমাদের ফুটবলীয় অভিধানের অংশ নয়। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্বের বাঁধা পেরুনো, প্রীতি ম্যাচের থেকে নেশন্স লিগে ভাল খেলা। প্রথম দুটি ম্যাচের পর আমি পত্রিকা পড়েছি, ২০ বছর পরেও আমাদের জাতীয় দল নিয়ে এই একই কথা লেখা হবে। আমাদের দলে এখনো গুনসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রকল্প শুরু করেছি। আমি নিশ্চিত এর ফলে আমরা শিগগিরই সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। একটাই সমস্যা হচ্ছে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাছাইপর্বে হয়তবা আমাদের বেশ কিছু শক্তিশালী দলের বিপক্ষে লড়তে হবে। তারপরেও আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করবো। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে। দূর্ভাগ্যবশত: বিশ্বকাপে দল যেতে পারেনি। যে কারনে কিছুটা হলেও আমাদের মর্যাদাহানি হয়েছে। আমরা ইতালি, অবশ্যই আবারো বিশ্ব আসরে নিজেদের ফিরিয়ে আনতে পারবো। ছেলেরাও বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। যখন তারা নীল জার্সিটি পড়ে খেলতে নামে তখন শতভাগ দেবারই চেষ্টা করে।’
ফর্মহীনতার কারনে এবারের দল থেকে বাদ পড়েছেন নিস ফরোয়ার্ড মারিও বালোতেল্লি ও তোরিনো স্ট্রাইকার আন্দ্রে বেলোত্তি। মানচিনি বলেছেন, তাদের বাদ পড়ার পিছনে ফর্মহীনতাই মূল কারন। তারা এই গ্রুপের মধ্যেই আছেন। যখন শতভাগ দিতে পারবেন অবশ্যই ফিরে আসবেন।
স্কোয়াড :
গোলরক্ষক : আলেসিও ক্রাগনো, গিয়ানলুইজি ডোনারুমা, মাত্তিয়া পেরিন, সালভাতোরে সিরিগু।
ডিফেন্ডার : ফ্রান্সেসকো আকারবি, ক্রিস্টিয়ানো বিরাগি, লিওনার্দো বনুচ্চি, গিওর্গিও চিয়েলিনি, ডোমেনিকো ক্রিসসিটো, এমারসন পালমেইরি ডস সান্তোস, আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, ক্রিস্টিয়ানো পিচ্চিনি, লোরেনজো টনেলি।
মিডফিল্ডার : নিকোলো বারেলা, ফেডেরিকো বারনারডেশি, গিয়াকোমো বোনভেঞ্চুরা, রবার্তো গাগলিয়ারডিনি, ফ্রেলো ফিলহো জর্জ লুইস জর্জিনহো, লোরেনজো পেলেগ্রিনি, মার্কো ভেরাত্তি।
ফরোয়ার্ড : ডোমেনিকো বেরাডি, গিয়ানলুকা কাপরারি, ফেডেরিকো চিয়েসা, সেবাস্টিয়ান গিনভিনচো, সিরো ইমোবিলে, লোরেনজো ইনসিগনে, সিমোনে জাজা।
বাসস/নীহা/১৩১০/স্বব