বাসস দেশ-১২ : ব্যাংক-বীমায় ভর করে ডিএসইর সূচকের বড় উত্থান

147

বাসস দেশ-১২
ডিএসই-শেয়ার
ব্যাংক-বীমায় ভর করে ডিএসইর সূচকের বড় উত্থান
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : ব্যাংক ও বীমা খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১১২টি। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সে হিসাবে বাজারটিতে লেনদেন হওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বেশি দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক ও বীমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংক খাতের ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩টির। আর বীমা খাতের ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির।
দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও বীমা খাতের এমন দাপটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন বেড়েছে ৮৫৫ কোটি টাকা।
মূল্যসূচক ও বাজার মূলধন বাড়লেও বাজারটিতে কিছুটা কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্রাগন সোয়েটারের ৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন, সিঙ্গার বিডি, বিবিএস কেবলস, ইফাদ অটোস, কনফিডেন্সড সিমেন্ট এবং নূরানী ডাইং।
বাসস/আরআই/১৮২০/কেএমকে