বাজিস-৬ : শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিলেটের ৩ উপজেলা

143

বাজিস-৬
সিরেট- বিদ্যুত
শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিলেটের ৩ উপজেলা
সিলেট, ৮ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ৩ উপজেলা। উপজেলাগুলো হলো বিশ্বনাথ, বালগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ। ইতোমধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানী বাজার উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হওয়ায় উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত আগস্টে এসব উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে ওসমানীনগর ও জকিগঞ্জ উপজেলায়।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- এর তথ্যমতে, গত ১০ বছরে জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট দশ ভাগ কাজ সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগেই শেষ হয়ে যাবে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌ. মাহবুবুল আলম জানান, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত ৮টি উপজেলার ২ হাজার ১৪৩ টি গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে মোট ৩ হাজার ২৩১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে, এতে ২৯৪ কোটি ৪৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার গ্রাহক। এতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত এলাকা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ মেগাওয়াটে, যা পুর্বের তুলনায় ১৫৮ ভাগ বেশি। এছাড়া বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমেছে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সংখ্যা ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। তিনি বলেন, আগে যেখানে ৭টি উপকেন্দ্রে ৬৭.৫ এমভিএ ক্ষমতায় বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো সেখানে এখন উপকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮টি। সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ এমভিএ।
সিলেট-৩ এর সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর ফলে এই গ্রামীণ এই জনপদে মানুষের কর্মঘন্টা বেড়েছে, সেচ ও কৃষিকাজ সহজ হয়েছে, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবদান বাড়ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে তুলবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ সংযোগ সহজলভ্য হয়েছে। বর্তমানে আমার নির্বাচনী এলাকায় আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংযোগ দেয়া হচ্ছে এবং তাও দুর্নীতিমুক্ত। নির্ধারিত ফি ছাড়া আর কোনো চার্জ দিতে হয় না। এতে যেমন সরকারে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি সাধারন মানুষও উপকৃত হচ্ছেন।
২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হলে সিলেটের সকল উন্নয়ন ও উৎপাদনশীল সম্ভনাময় খাত দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো বিকশিত হবে বলে মনে করেন সিলেটের বিশিষ্টজনেরা। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সবার।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬০০/মরপা