তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স পদ্ধতি প্রচলনের সুপারিশ

422

ঢাকা, ৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : তামাক পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদে এড ভ্যলোরেম (সম্পূরক) পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স পদ্ধতি প্রচলনের সুপারিশ করেছে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্সকক্ষে আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যে যুগোপযোগী এবং কার্যকর করারোপের দাবিতে ‘কেমন তামাক-কর চাই’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মাহবুবুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস,বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. মাহফুজুর রহমান,ভাইটাল স্ট্র্যটেজিসের
বাংলাদেশ কান্ট্রি এডভাইজার শফিকুল ইসলাম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক এবং আত্মার কো-কনভেনর নাদিরা কিরন আয়োজকদের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন,এড ভ্যলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট ডিউটি বাড়ালে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে এবং নতুন রাজস্ব সৃষ্টির দ্বার উন্মোচিত হবে।সিগারেটের ওপর অতিরিক্ত করারোপের ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সিগারেট চোরাচালান হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
লিখিত প্রস্তাবনায় আয়োজকরা বলেন,এডলোরেম পদ্ধতিতে কর শলাকার সংখ্যা (বিড়ি, সিগারেট) বা ওজনের ওপর কর আরোপ করা হয়। সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স প্রচলনের প্রস্তাবনা বিদ্যমান জটিল কর ব্যবস্থা সহজীকরণের গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ।এই পদ্ধতিতে কর আহরণ এড ভ্যালোরেম পদ্ধতির তুলনায় সহজ। প্রস্তাবিত তামাক কর সংস্কার করলে তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস পাবে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে পারবে।
প্রস্তাবনায় সিগারেটের মুল্যস্তর নিন্ম এবং উচ্চ এই দুই স্তরে নামিয়ে এনে নিন্মস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনি¤œ মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিন্ম মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সুপাশির করা হয়। এছাড়া সকল ক্ষেত্রে প্রতি শলাকা সিগারেটে ৫ টাকা সুনির্দিষ্ট করারোপের প্রস্তাব করা হয়।
এর পাশাপাশি ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিন্ম মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্ত এবং সকল তামাকপণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়।