বাসস দেশ-১৪ : রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে হবে : কাজী রিয়াজুল হক

196

বাসস দেশ-১৪
রিয়াজুল-আহ্বান
রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে হবে : কাজী রিয়াজুল হক
ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থানীয় জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে (মিয়ানমার) ফিরিয়ে নিতে হবে।
এজন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে অধিকতর চাপ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথা বলেন।
প্রবীণদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন ‘ফোরাম ফর এল্ডারলি পিপল’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব এল্ডরলি পিপলের সহ-সভাপতি ড. শরিফা বেগম।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন ‘মিয়ানমারে গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত করিয়েছেন। ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘ সময় লালন করা বাংলাদেশের পক্ষে কষ্টসাধ্য।
তিনি বলেন, ‘এতে দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন ও কক্সবাজার অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতাসহ ৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যরা যথাযথ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়।’
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বসহ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধসহ চাপ সৃষ্টিতে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণে প্রয়োজনে একাত্তরের ন্যায় আন্তর্জাতিক কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনসহ অন্যান্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে গেলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি জানিয়ে এসেছি। আমরা মনে করি, এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার দিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিবে।’
বাসস/সবি/এমএন/১৭৫৫/কেকে