বাজিস-৩ : ভোলার লালমোহন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র-২ এর কাজ শেষ পর্যায়ে

360

বাজিস-৩
ভোলা-বিদ্যুৎ-উপকেন্দ্র
ভোলার লালমোহন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র-২ এর কাজ শেষ পর্যায়ে
ভোলা, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার লালমোহন উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রমাগঞ্জ এলাকায় লালমোহন উপকেন্দ্র-২ এর কাজ ৯৯ ভাগ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি চালু করা হবে। এছাড়া আরো ২টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চরফ্যশন উপজেলার দুলার হাট ও দক্ষিণ আইচায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এ বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয়ভাবেই বিদ্যুতের চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে। ফলে পল্লী এলাকায় আবাসিক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প-কল-কারখানা গড়ে উঠবে বিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে। মূলত সরকার চলতি বছরের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে, সেই কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে এ উপকেন্দ্রে’র উৎপাদিত বিদ্যুৎ, এমনটাই মনে করছেন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আবুল বাশার আজাদ বাসস’কে জানান, লালমোহন উপকেন্দ্র-২ এর নির্মাণ কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে। এখান থেকে স্থানীয়দের মধ্যে ৬ মেঘাওয়াট বিদ্যূৎ সরবরাহ করা হবে। মূলত স্থানীয়ভাবে বিদ্যুতের চাহিদার উপর নির্ভর করেই সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বর্তমানে বিদ্যুৎ পাচ্ছে লালমোহন ও চরফ্যশন উপজেলা থেকে। দুই দিক থেকে বিদ্যূৎ পাওয়ার জন্য এই এলাকার মানুষের বিদ্যুতের লো বোল্টেজ থাকে এবং চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টি হয়। চলতি মাসে লালমোহন উপকেন্দ্র-২ চালু হলে রমাগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা থাকবেনা।
এদিকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার খবরে স্থানীয়রা আনন্দ প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এবং বিদ্যুতের ঘাটতি দূরসহ স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ দিয়ে কল কারখানা স্থাপন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় একটি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী মনে করেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ হচ্ছে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। এ উপকেন্দ্র চালু হলে স্থানীয়ভাবে সকল ঘরে আলো জ্বলবে। এত করে লেখা-পড়ার মান বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। একইসাথে গ্রামগুলোতে আলো জ্বল্লে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ আয় রোজগার ভালো হবে।
বাসস/এইচ এ এম/১১৩০/বেউ/-নূসী