বাসস দেশ-৮ : রাজধানী সংলগ্ন ৪টি নদী সংরক্ষণে ৮শ’ ৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ

154

বাসস দেশ-৮
নৌপরিবহন মন্ত্রী – ভিত্তি প্রস্তÍর
রাজধানী সংলগ্ন ৪টি নদী সংরক্ষণে ৮শ’ ৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ
ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রাজধানী সংলগ্ন ৪টি নদী সংরক্ষণে ৮শ’ ৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ শুক্রবার আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন প্রাঙ্গণে নদীর সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক এবং জেটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি জানান,চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের আওতায়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গা পুনরায় যাতে দখল না হয় সেলক্ষ্যে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মিত হচ্ছে।
এর পাশাপাশি ৪৪,৭৮৩ মিটার ব্যাংক প্রটেকশন, ১,০০০ মিটার কি-ওয়াল, ১৯টি আরসিসি স্টেপসহ আরসিসি জেটি, তিনটি ইকোপার্ক এবং নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণে ১০ হাজার ৮শ’ ২০ টি টেকসই সীমানা পিলার নির্মাণ করা হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে নৌপথের দু’তীরে পর্যায়ক্রমে ২ শ’ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে রাজধানী ও তৎসংলগ্ন নদীগুলো সংরক্ষণ করা হবে। ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
শাজাহান খান বলেন, নদী বাংলাদেশের প্রাণ। নদী হারিয়ে গেলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবেনা। তিনি নদী রক্ষায়, নদী দখল ও দূষণরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য,৪ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নদী বন্দরের অন্তর্ভূক্ত রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫৫, রায়েরবাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত ৪ দশমিক ৪৫, হাসনাবাদ-কাওটাইল ৮ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার ও সদরঘাট- বাবুবাজার ব্রীজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও ফতুল্লা থেকে ধর্মগঞ্জ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, টঙ্গি নদী বন্দরের আওতায় বাতুলিয়া থেকে উজানপুর পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭২৫, পাগার মৌজা-হারবাইদে ৩ দশমিক শূন্য ৬৮ কিলোমিটার,আশুলিয়া কামারপাড়া (ঢাকা প্রান্ত) ৩ দশমিক ৫৬, আশুলিয়া-কামারপাড়া (গাজীপুর প্রান্ত) ৩ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার এবং নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের আওতায় ডিইপিটিসি এলাকায় ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নারায়ণগঞ্জ সাইলো হতে কুমুদিনী পর্যন্ত ৮ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার এবং সুলতানা কামাল-কাঁচপুর সেতু এলাকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সর্বমোট ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হবে।
এদিকে এই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকার চারপাশে ১শ’ ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বৃত্তাকার নৌপথ রয়েছে। উক্ত নৌপথের দু’তীরে মোট ২শ’২০ কিলোমিটার তীরভূমি রয়েছে। বৃত্তাকার নৌপথটি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী পরিবেস্টিত।
ইতিপূর্বে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অধীনে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং ঢাকার শ্যামপুরে ও নারায়ণগঞ্জে দু’টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন ওপ্রকল্প পরিচালক নুরুল আমিন বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭২০/কেকে