বাসস ক্রীড়া-৮ : জয়ের জন্য খেলতে চাই ॥ একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে : জেমি ডে

148

বাসস ক্রীড়া-৮
ফুটবল-বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-জেমি
জয়ের জন্য খেলতে চাই ॥ একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে : জেমি ডে
সিলেট, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিলিপাইনের মোকাবেলা করবে স্বাগতিক বালাদেশ। ইতোমধ্যে লাওসের বিপক্ষে জয় নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি। যে কারণে কালকের ম্যাচটি হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার লড়াই। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ১-০ গোলে লাওসকে হারালেও ফিলিপাইন তাদের হারিয়েছে ৩-১ গোলে। ফলে কালকের ম্যাচ ড্র হলেও গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে খেলবে ফিলিপাইন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ওই ম্যাচে অবশ্যই জয় পেতে হবে।
স্বাগতিক কোচ জেমি ডে’র ও ইচ্ছা ম্যাচটিতে জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল খেলা। তবে যেহেতু সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে তাই এই ম্যাচে শীর্ষ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে দিতে চান জেমি। তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই কালকের ম্যাচে জয় পেতে চাই। সেই অপেক্ষাতেই আছি। তবে তিনজন খেলোয়াড়ের পরিবর্তন আসতে পারে। প্রয়োজনের তাগিদেই এই পরিবর্তন। মোট কথা আমরা জয় চাই। ফিলিপাইনও জয় চাইবে।’
তিনি বলেন, ‘জামাল ভুইয়া ও ওয়ালি ফয়সালের সামান্য ইনজুরি রয়েছে, তবে গুরুতর নয়। তারা অচিরেই ফিটনেস ফিরে পাবে। দল গঠনের জন্য সব খেলোয়াড় হাতে আছে। ওয়ালি চোট পেলেও আজ অনুশীলনে অংশ নিয়েছে। বেশ ভালই মনে হয়েছে।’
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘গত ম্যাচে আমরা জয় লাভ করেছি। এর পর গত কয়েকদিন আমরা যথেষ্ট ঘাম ঝরিয়েছি। ম্যাচ জয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। সেরাটা খেলতে পারলে আমরা অবশ্যই জয়ী হতে পারব। তবে প্রতিপক্ষ দলে বেশ কজন ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। যে কারণে ম্যাচটি আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ফিলিপাইনের আক্রমন ভাগে কয়েকজন ভাল মানের খেলোয়াড় রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা নির্ভুল নিশানা ভেদ করতে সক্ষম। সতরাং তাদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ কারনে অন্য ম্যাচের তুলনায় ছেলেদের আরো ভাল খেলতে হবে।’
স্বাগতিক কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় কাল আমাদের কিছুটা ভাগ্যেরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। হয়তো ম্যাচটি আমাদের জন্য উপভোগ্য হবে। জানি সেখানে আমাদের মধ্যে কোন চাপ থাকবে না। তবে একটি ভাল ম্যাচের অপেক্ষায় আছি।
আগামীকাল দলে কয়েকটি পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিবর্তন দরকার। পরের রাউন্ডের ম্যাচের জন্য কয়েকজনকে বিশ্রাম দেয়া হবে। সেই সঙ্গে আগের ম্যাচে খেলার সুযোগ না পাওয়া খেলোয়াড়রা যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবে।
এই মুহূর্তে আমরা নির্ভার রয়েছি। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় আমরা যেমন আত্মবিশ্বাসি তেমনি আনন্দিত। এটাই ছিল শুরুতে আমাদের মুল লক্ষ্য। এখন আমরা ভাল খেলার জন্য মাঠে নামব। আশা করি সেমিফাইনালেও আমরা সেরা পারফর্মেন্স দেখাতে পারব। সেখানে আমাদের সামনে জয়ের বিকল্প কোন পথ থাকবে না। আশা করছি সেখানে সেরাটা দিতে পারব।’
ইংলিশ এই কোচ বলেন,‘অপর গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়া দুটি দলই শক্তিশালী হবে। যে কারণে সেমিফাইনালে বেশ কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। আমরা গ্রুপ সেরা হিসেবেই সেমিতে খেলতে চাই। সেরা হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া হবে চমৎকার ব্যাপার। যদি তা না হয়, তাহলে যে দলটি আমাদের প্রতিপক্ষ হবে তাদের লক্ষ্য বানিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
আমারা নিজেদের অবস্থানকে সংহত রাখতে চাই। যে কারণে ডিফেন্ডারদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। এটি তাদের জন্য পরীক্ষা। শুধু ডিফেন্ডারদের জন্য নয়, বরং দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের জন্য। আমরা এমন দলগুলোর সঙ্গে লড়তে যাচ্ছি, যারা র‌্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক উপরে। সুতরাং আমাদের পরিপুর্ন প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে এবং সেরা পারফর্মেন্স প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশের দর্শকদের প্রশংসা করে জেমি বলেন, ‘আমি কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেখছি সমর্থকরা প্রতিটি ম্যাচে দারুণভাবে দলের সমর্থন করছে। জয় পরাজয় যাই হোকনা কেন তারা খেলোয়াড়দের পাশেই রয়েছে। আশা করি আগামীকাল শুক্রবারও তারা একই ভাবে দলীয় সমর্থনে এগিয়ে আসবে। আমি খেলোয়াড় হলেও চাইতাম বিপুল দর্শকের উপস্থিতি। তারাই দলকে ভাল খেলার জন্য অনুপ্রাণীত করে আসছে। সুতরাং আমরা চাই অধিক সংখ্যক দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়ে আমাদের রণাঙ্গনের রশদ যোগাবে।
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৮১০/স্বব