বাসস দেশ-৫ : সকল দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তোফায়েল আহমেদ

113

বাসস দেশ-৫
তোফায়েল-সাক্ষাৎ
সকল দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। সরকারের আয়তন ছোটও হতে পারে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আগামী নির্বাচনে সকল দল অংশ গ্রহণ করবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।’
তোফায়েল আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক উপস্থিত ছিলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) বিস্তারিত জানিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, সে নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী হবে।ক্ষমতাসীন সরকার সেই নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগের পরিবেশ ও অবকাঠামোর উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিনিয়োগের জন্য চমৎকার পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো যদি বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে সরকার যে ১০০টি ইকোনোমিক জোন করতে চেয়েছে তার মধ্যে একটি আমরা তাদের জন্য ছেড়ে দিতে পারি। ইইউ যদি বিনিয়োগ করে তাহলে তাদেরকে এই বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আমরা ইইউ’র কাছ থেকে স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে এখন যে সুবিধা পাচ্ছি সেটি বিদ্যমান থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের রপ্তানি ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আমদানি ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তাদের অনুরোধ করেছি আমরা যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হব তখনও যাতে জিএসপি সুবিধা বহাল থাকে। আমরা যাতে জিএসপি প্লাস পাই যেটা তারা শ্রীলংকা ও পাকিস্তানকে দিয়েছে সেটাই যাতে পাই সেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। প্রতি ৬ মাস অন্তর আমাদের এই ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন-বাংলাদেশের ডায়লগ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা দরকার। এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে, আগামী বছরের মার্চে আবারও বৈঠকে বসব। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৫৫০/এমএবি