সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ হত্যা : সাইফুলের মৃত্যুদন্ডাদেশ রিভিউ আদেশ রোববার

163

ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকাস্থ সৌদি আরবের দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে হত্যার দায়ে আসামী সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃর্ত্যুদন্ডের রায় পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আনা আবেদনের ওপর রোববার আদেশ দেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বিষয়টির ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করে দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আকতার হামিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় আপিলেও বহাল রেখে গত বছর ১ নভেম্বর রায় দেয় আপিল বিভাগ। রায়ে খালাফ আল আলীকে হত্যার দায়ে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদন্ডসহ হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে অন্য তিন আসামি আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডও বহাল রয়েছে। ৫ আসামির মধ্যে অন্যজন পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে হাইকোর্টের মতো আপিল বিভাগও বেকসুর খালাস দিয়েছে।
তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে আপিলে দু’দফা শুনানি নেয়ার পর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের মোট চারটি আপিল নিস্পত্তি করে রায় দেয়।
পরে সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদন্ডের রায় পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হয়। যার ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয়। আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর একজনের মৃত্যুদন্ড, তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে রায় দেয়। আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদন্ড হাইকোর্টের রায়েও বহাল থাকে। বিচারিক আদালতে দেয়া মৃত্যুদন্ডের সাজা কমে আসামী মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। পলাতক আসামী সেলিম চৌধুরী খালাস পায়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হয় সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। সেলিম চৌধুরী ছাড়া অপর চার আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।