বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

185

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের জাতীয় উন্নয়ন মেলায় এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এই ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’ উপহার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখলাম-পাসের হার বৃদ্ধি পেলেও সেখানে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা একটু পিছিয়ে আছে। এই আধুনিক যুগে, ডিজিটাল যুগে কেউ পিছিয়ে থাকুক সেটা আমরা চাই না। সেজন্য এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা উপহার- সেটা হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা। অর্থাৎ অনলাইনে তারা এ বিষয়গুলোতে শিক্ষা নিতে পারবে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’
পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞান বিষয়সহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যায়ক্রমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা করে দিবো, যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেকোন বিষয় অনলাইনে পেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ইন্টারনেট, ডিজিটাল সেন্টার চালুসহ কম দামে সকলের হাতে ল্যাপটপ-স্মার্ট ফোন তুলে দিতে সরকারের উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরেন।
বিভিন্ন ভাষা শিখতে ‘অ্যাপস’ তৈরির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু ইংরেজি না ১০টি ভাষায় আমরা একটা অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি। যা অনলাইনে পাওয়া যাবে। এখান থেকে বিভিন্ন ভাষা শেখা যাবে। বিদেশে চাকুরি করতে চায় তারা এখান থেকে ভাষা শিখে নিতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। উন্নত শিক্ষা গ্রহণ করে তারা যেন দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন করতে পারে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য আমরা বৃত্তি-ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবনমান উন্নত ও তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।
প্রথম মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাসনকে স্বর্ণযুগ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। বাংলাদেশ তখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন ছিল। সাক্ষরতার হার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে তৈরি করেছিলাম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে বেশি ভোট পেয়েও কোনো একটি চক্রান্তের কারণে তারা ক্ষমতায় আসতে পারেন নি। ফলে আরো সাতটি বছর মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ফের জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আমরা ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয় তিনি দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার যে আকাক্সক্ষা ছিল, সেই আকাক্সক্ষা পূরণেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবসময় নিজের শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে এ দেশকে গড়ে তুলতে চাইতেন। তিনি চাইতেন আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তিনি বলতেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না, ভিক্ষা করে চলবে না।’
বাসস/এএসজি-এফএন/১৪৫৫/এমএবি/আরজি