নড়াইলে এবার ৫৬৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে

410

নড়াইল, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার ৩ উপজেলায় এবার ৫৬৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র বাকি ১০দিন। এ জেলার ৫৬৩টি মন্ডপে রংতুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তোলায় ব্যস্ত শিল্পীরা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামি ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৫দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। ১৯অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
জেলা পূজা উদযাপন পর্যদের সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু জানান, এ বছর জেলাশহরসহ ৩টি উপজেলায় মোট ৫৬৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে তুলির আঁচড়। পাশাপাশি শহর ও উপজেলা সদর এবং বিভিন্ন হাটবাজার এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ।
জেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর সদর উপজেলায় ২৫৫টি মন্ডপে, লোহাগড়ায় ১৬১টি মন্ডপে এবং কালিয়া উপজেলায় ১৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে শারদীয় উৎসব পালনে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত মন্ডপগুলোতে পুলিশ-আনসার-ভিডিপির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল।
শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের আয়োজনে বুধবার পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মো: জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্ট আব্দুল্লা-আল-মামুন, জেলা পূজা উদযাপন পর্যদের সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক কমল আখি বিশ্বাস, শিক্ষাবিদ বিজন কুমার সাহা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু প্রমুখ।সভায় জেলার তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক কমল আখি বিশ্বাস বলেন, পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।