চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলাকে ঘিরে লক্ষ্মীপুরে নানা আয়োজন

229

লক্ষ্মীপুর, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে দেশে একযোগে ৩ দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, ভিশন-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সফলতার কথা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে বিগত ৩ বছর যাবত এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছর উন্নয়ন মেলাকে ঘিরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন নানা আয়োজন ও কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের গৃহিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করবে। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে র‌্যালিতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হবে। ১০টায় কালেক্টরেট ভবনের সামনের ড্রীল সেডে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ সংক্রান্ত আলোচনা সভা। বেলা ১১টায় তথ্য প্রযুক্তি, সেবাখাত, অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিষয়ক সেমিনার। ১২টায় সরকারের সাফল্য ও উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণ তথা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে তুলে ধরার লক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শন। সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, সাফল্য, পুরষ্কার সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮টি দলের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড এবং বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সরকারের সাফল্যকে উপজীব্য করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় কৃষি ও কৃষক উন্নয়নের হাতিয়ার শীর্ষক আলোচনা সভা, ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ সংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শন, বিকেল ৩টায় চারটি দলের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল, ৪টায় ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিন শনিবার সকাল ৯টায় বিভিন্ন বিভাগের স্ব-স্ব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও সেবাসমূহ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রদর্শন, সাড়ে ১১টায় স্টলসমূহ পরিদর্শন ও মূল্যায়ন, দুপুর ২টায় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল, বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রযুক্তির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা, ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বাসস’কে বলেন, ৭টি উপ-কমিটির মাধ্যমে উন্নয়ন মেলার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর মেলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার ও মিডিয়া কর্ণারসহ মোট ৭৫টি স্টল রয়েছে। এছাড়াও জনসাধারণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও উন্নয়ন মেলাকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।