বাসস ক্রীড়া-১৩ : আরিফুলের ডাবল সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করেছেন মিজানুরও

162

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-জাতীয় লিগ
আরিফুলের ডাবল সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করেছেন মিজানুরও
রাজশাহী, ২ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২০তম আসরের প্রথম স্তরের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ডাবল-সেঞ্চুরি করেছেন রংপুর বিভাগের আরিফুল হক। ফলে প্রথম ইনিংসে ৫০২ রানের রানের পাহাড় গড়েছে রংপুর। দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৯১ রান তুলেছে বরিশাল। ফলে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৪১১ রানে পিছিয়ে বরিশাল।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে টস হেরে প্রথম ব্যাটিং-এ নামে রুংপুর। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা আরিফুল প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অষ্টম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে দিন শেষে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ১৮১ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরিকে ডাবল করেছেন আরিফুল। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে ২৩১ রান করেন তিনি। তার ৩২৫ বলের ইনিংসে ২১টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। বরিশালের সোহাগ গাজী ও মনির হোসেন ৩টি করে উইকেট নেন।
রংপুরকে গুটিয়ে দেয়ার পর দিন শেষে ৩৪ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় বরিশাল। রাফসান আল মাহমুদের অপরাজিত ৫৩ রানের সুবাদে দিন শেষে ১ উইকেটে ৯১ রান তুলেছে বরিশাল।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে খুলনা। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় খুলনা। তুষার ইমরানের ১০৪ রানের পরও ২১০ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।
খুলনাকে অলআউট করে প্রথম দিনের শেষ ভাগে ২৯ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেটে ১২২ রান তুলেছিলো রাজশাহী। তাই ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৮ রানে পিছিয়ে ছিলো রাজশাহী।
দ্বিতীয় দিন মিজানুরের সেঞ্চুরি ও জহিরুল ইসলামের অপরাজিত ৯১ রানে খুলনার বিপক্ষে বড় লিড নিয়েছে রাজশাহী। ৬ উইকেটে ৪৪৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে তারা। ফলে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩৬ রানে এগিয়ে রাজশাহী। মিজানুর ১৪৫ বলে ১১৫ রান করেন। খুলনার আফিফ হোসেন ৩ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর বিভাগ : ৫০২/১০, ১৪৫.২ ওভার (আরিফুল ২৩১, নাইম ৯২, মনির ৩/১২৮)।
বরিশাল বিভাগ : ৯১/১, ৩৪ ওভার (রাফসান ৫৩*, নাফীস ২৪, মাহমুদুল ১/২৫)।
খুলনা বিভাগ : ২১০/১০, ৫২.৩ ওভার (তুষার ১০৪, আনামুল ২৬, শফিউল ৫/৪৩)।
রাজশাহী বিভাগ : ৪৪৬/৬, ১১৯ ওভার (মিজানুর ১১৫, জহিরুল ৯১*, আফিফ ৩/৫৭)।
বাসস/এএমটি/১৯৩৫/স্বব