কাল ফিলিপাইনের মোকাবেলা করবে লাওস

198

সিলেট, ২ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবলে বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল ফিলিপাইনের মোকাবেলা করবে লাওস। তবে ওই ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ভর করছে বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার বিষয়টি। ম্যচটিতে যদি লাওস হেরে যায় কিংবা ড্র করে তাহলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিক দলের সেমিফাইনাল।
আবার ফিলিপাইন হেরে গেলেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। তখন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রয়োজন মাফিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারবে স্বাগতিক কোচ জেমি ডে।
এদিকে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দলের কাছে হেরে গেলেও আগামীকাল গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না লাওসের কোচ মাইক ওং মুন হেং। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে লাওস ১৭৯, ফিলিপাইনের অবস্থান ১১৪। র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকার পরও ফিলিপাইনের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখার স্বপক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন লাওসের কোচ। তিনি বলেন, প্রথমত ১০০তম অবস্থানের নীচের সবকটি দলের মান কাছাকাছি। সেখানে র‌্যাংকিং খুব একটা কার্যকর নয়। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমরা মাঠের সঙ্গে এরই মধ্যে পরিচিত হয়ে গেছি। যে কারণে মাঠের সুবিধা আদায় করতে পারব। সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরা ম্যাচটি খেলতে পারিনি। আশা করি ফিলিপাইনের বিপক্ষে সেরাটা খেলতে পারব। আর সেরাটা খেলতে পারলে হয়তো জয়লাভ করতে পারব।
এদিকে লাওসকে বাদ দিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে বাংলাদেশকেই প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছে ফিলিপাইন। দলের প্লে মেকার মিসাক বাহাদুরান বলেন, এই মুহুর্তে ফিলিপাইনের ফুটবল দারুন উন্নতি লাভ করেছে। এর মুল কারণ সেখানকার ঘরোয়া লীগ। ফিলিপাইনের ঘরোয়া লীগ এখন বেশ জমজমাট। বিদেশী খেলোয়াড়রাও সেখানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। এখানে সেরা খেলা দিয়েই আমরা শিরোপা জয় করতে চাই। এই পথে স্বাগতিক বাংলাদেশকেই আমরা প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছি। কারণ স্বাগতিক হিসেবে তারা বেশ শক্তিশালী দল।
ম্যানেজার জোসেফ মারিমালিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টে এটাই আমাদের প্রথম অংশগ্রহণ। এই ম্যাচের মাধ্যমেই আমরা এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি সারতে চাই। আসা করি সেরাটাই খেলতে পারব। এটি জাতীয় দল হলেও সেরা একদশের ৫ থেকে ৬ জন বর্তমান দলের হয়ে খেলতে বাংলাদেশে এসেছে। দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের লীগে খেলছে।
অবশ্য দুই দলের অতীত পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে লাওস। এ পর্যন্ত ১১ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটি। তন্মধ্যে লাওস জয় পেয়েছে ছয়বার। আর ফিলিপাইনের জয় তিনবার। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।